মহাজ্ঞানি জন
                 এম. মাহবুব মুকুল


যুগে যুগে আসে মহাপুরুষ, মহাজ্ঞানি জন,
মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকেন সর্ব্ক্ষণ।
আহার-বিহার , হাসি-ঠাট্টা উপেক্ষা করে,
গভীর ধ্যানে-জ্ঞানে মগ্ন থাকেন দিনরাত ধরে।
কালের প্রভাবে, করাল গ্রাসে, যায় না তাঁরা তলিয়ে,
যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকে, হিমালয় সম সম্মান নিয়ে।
মানবের তরে যারা প্রবল অত্যাচার খাটায় ,
ক্ষণিকের তরে বেঁচে থাকে তারা বিশ্ব বসুন্ধরায়।
মৃত্যুর সময় থাকে না কেউ, কেউ করে না সালাম-প্রনাম,
দাপটের সাথে শাসন করলেও রয়ে যায় অপকর্ম্–দূর্ণাম ।                          
                                 আর মহাজ্ঞানি জন !
শান্তির সেবায় উদ্ভাবনে নিয়োজিত রাখে সর্ব্ক্ষণ।
নিজেকে নিয়ে ভাবে না, বিশ্বকে নিয়ে যত চিন্তা,
তাঁদের উপর আসে অত্যাচারি প্রভাবশালীর হন্তা।
যারা রাখতে পারে না প্রতিভার কোন ছাপ,
দমিয়ে রাখতে প্রয়োগ করে অবিরল চাপ।
বিদ্বান-বিদুষি, মহাজ্ঞানি, মহাপুরুষ, পণ্ডিতগণ,
উদ্ভাবনের পথে অসতে সাহায্য করে মধুর আচরণ।
মৃত্যুকে তুচ্ছ করে লেখনি চালায় অবিচল,
সত্যের অভয়বাণী শুনায় তাঁরা অবিরল।
হয়তো এটাই হবে ! বিজ্ঞানী আইনস্টাইন যে রাতে,
আপেক্ষিক তত্ত্বের চিন্তায় বিভোর  ঘুম ব্যতিরেখে।
ঠিক সে রাতে, হয়ত বা তাঁর প্রতিবেশীরা সবাই,
কার্টু্ন কিংবা টিভি সিরিয়ালে মগজ করছিল ধোলাই।
রবীন্দ্র, নজরুল, নিউটন, এডিসন শ্রেষ্ঠ প্রতিভাবান,
সৃজনশীল কাজে সর্ব্ত্র চালাতেন স্বীয় অভিযান।
ক্ষণিকের তরে বাঁচলেও তাঁরা দুর্জ্য়, তাঁরা স্মরণীয়,
ইতিহাস তাঁদের স্মরণ করে স্থান দেয়, তাঁরা বরণীয়।
মহাজ্ঞানি মহাপুরুষ বিদুষি প্রতিভাবান পণ্ডিতগণ,
মরেও তাঁরা অমর, মানবের বুকে জাগ্রত তাঁরা সর্ব্ক্ষণ।
তাঁদের চিন্তায় ভণ্ডামি, কুসংস্কার, মিথ্যা, কুৎসা নাই,
অন্যের ধন-সম্পদ, অট্টলিকায় তাঁরা বিচলিত নয়।
প্রতিদিন নতুন চিন্তা, নতুন উদ্ভাবনে লেখনি চালায়,
অবিরল । একাগ্র সাধনাই তাঁদের সুফল এনে দেয়।
                                     হে মানবশিশুগণ !
আজ হতে আমাদের করতে হবে তাঁদের অনুসরণ।
হিংসা-ঈর্ষ্‌া  ভুলে, চলো চলি মহামনিষীদের পথে,
তবেই আমরা হবো ধন্য, মানবতার রবি উঠবে প্রভাতে। ।