ভাই-বোনেদের আদর সোহাগ অদৃশ্য মায়ার বন্ধন
ছিন্ন হবার নয়। সবাই মায়ের মমতার আদরের ধন।
হারিকেন কিংবা বৈদ্যুতিক বাতির নিচেয়
গোল হয়ে বসে বই পড়া আর খাওয়া ,
         স্কুলে বই-খাতা ফেলে বাড়িতে এসে
কাঁদকে কাঁদতে এক সাথে ঘুমিয়ে পড়েছি শেষে।
বিকেলে দাঁড়িয়াবান্ধা, গোল্লার ছুট, হাডুডু খেলে
সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে সবাই মিলে বই পড়া।
ভাই-বোনের বন্ধন, ¯্রষ্টার অদৃশ্য মায়ার বন্ধন।
যেন বিনিসুতার মালা জাগতিক প্রকৃতির খেলা,
সবচেয়ে বড় অপন আবার শত্রুর সাথে করে খেলা।
ছোট বেলায় বিপদে আপদে বড় অপন করুনার যে,
কে ফেলে অশ্রু! কে আসে দ্রুত সর্বাগ্রে এগিয়ে।
খেয়ে না খেয়ে মা-বাবা তাকিয়ে দেখত আমাদের,
আদর দিয়ে স্নেহমাখা ভালোবাসায় ডাকত মোদের।
                  ভাই-বোনেদের অটুট বন্ধন দেখে
হিংসায় জ্বলত, আর মা-বাবার আদর সোহাগ দেখে।
তারপর কর্মের খেঁজে দূরে দূরে, বেড়েছে দূরত্ব
গ্রাস করেছে সর্বস্ব আমাকে অসহ্য একাকীত্ব।
নিরাশার মাঝে তবুও বারবার খুঁজি সুবাতাস,
সবাই সবার সংসারে; সন্তান নিয়ে করছে বসবাস।
অবশেষে মায়ার বন্ধন ফিকে হয়, কথা ঐ হাই হ্যালো
সেই সব স্মৃতির  স্নেহমাখা বন্ধন যায় কি ভুলা বলো!
                                                         (১০ অক্টোবর ২০০৯)