হৃদয়ের আসমানে জ্বলে শারদীয় চাঁদ,
                বিদায়ের বিষণ্ন নির্যাস!
মেঘকন্যার আচমকা বিচরণ কাশবনে,
স্বপ্ন জয়ের অদৃশ্য আঁধারের শিউলি প্রভাতে।
শান্ত বিষাদে নক্ষত্রপুঞ্জের ভেতরে ভেতরে
            কি যেন আহবান আপন ভূবনে!
নিথর আক্ষেপে তাকিয়ে নীল সাদা আসমানে
কাশফুর ওড়ে ওড়ে মেঘকন্যার গগনে।
                কুমারী কন্যার পূর্ণ চাঁদে।
শরৎ সন্ধ্যায় কেঁপে উঠে অস্তিত্বের স্মৃতিতে,
                 বিদায়ের ক্ষণে ক্ষণে!
ভূবন জুড়ে খেলা, সারারাত মেঘের তোরণে
মেঘকুয়াশার দিবা স্বপ্নে কাতর মেঘকন্যা।
শীতল নিঃশ্বাস ভারি হয়ে আসে
      ঘুমহীন দিবস-রজনীর প্রতিবাদে।
মেঘকন্যা ছুটে চলে দুরন্ত- নিরুদ্দেশে
কাশফুল ছুঁয়ে শিউলি গন্ধ নিয়ে।
হৃদয়ের আসমানে জ্বলে শারদীয় চাঁদ!
দিবসের প্রতিবাদ ঘুমহীন রাত
                     নিজের অজান্তে!
শিশির ভেজা প্রতিটি বৃন্তের প্রান্ত।
শতরূপ স্বপ্নের নির্যাস মেঘকন্যার আবেশে
দেখ ! দেখ!! সাদা টিপ শারদীয় নীলাকাশে
ওকি বেদনার কারুকলা
            নাকি হৃদয়ের ভেলা!
শরতের মর্মরিত বিজন আকাশে
    নিঃসঙ্গ মেঘকন্যা ওড়ে
                 শিউলি ঝরা ভোরে।
কাশফুলের নরম আবেশে।
নিসর্গের গভীর গোপন মুগ্ধ আমন্ত্রণে।
উচ্ছ্বাসে উতলা তবু রাত্রিতে নির্ঘুম
অনন্ত নীলের দূর কল্পনায়
                   শরৎকন্যার স্তব্ধতায়!
মেঘকন্যার আসমানে স্বপ্নের কারুকাজ।
নিসর্গ যাতনার ভীড়ে কল্পনার তাজ
                   দূরে! বহুদূর প্রান্তে
মন্ত্রমুগ্ধ মনে উচ্ছ্বাসে ছুটে চলে মরতে।
কৈশর-যৌবনে অনুভবের অঞ্জলি
মেঘকন্যার রৌদ্র-ছায়ার ছোঁয়া কানন প্রভাতে!
শারদীয় উৎসবের নিবিড় সখ্যতায়
তরুণীর আসমানে জ্বলে শারদীয় চাঁদ
              রূপের নহর বহে মেঘে মেঘে
               মেঘকন্যার ছবি এঁকে এঁকে।