নতুন পৃথিবীর খোঁজে
দুর্গম গিরিপথে চলি
              দিগন্ত সীমানায়,
তিমিরাচ্ছন্ন আজকের এই ধরণীতে
আচমকা হোঁচট খাই
             কেঁপে উঠি ভয়ে!
উষ্ণ অনুভূতির অলৌকিক  ঘটনায়!
লুকানো গৌরব ঝেড়ে ফেলি আচমকা বজ্রঘাতে
মধ্যরাতে কম্পিত শরীরে ভয়ে মরি কষাঘাতে।
অপার্থীব ঘটনায় হেঁটে চলি নীরব অহংকারে
সীমানা পেরিয়ে দিগন্ত থেকে দিগন্তে;
        নতুন পৃথিবীর খোঁজে!
চলে পূণির্মা অথবা অমাবশ্যার তিথিতে।
আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে অজস্র আহবানে!
      বিধ্বস্ত সভ্যতার মাঝে
            নব নবীনের আশ্রয়ের খোঁজে!
রক্ত স্রোতের অশ্রু বন্যায় এ কি দেখি!
ঘুম সুখ স্বপ্ন ছিঁড়ে শঙ্কায় থাকি।
দিক ভ্রান্ত নাবিক আজ চাতুর্যর ফাঁদে,
বিরহের ফাঁকে ফাঁকে ভঙ্গুর স্মৃতি খুঁজি
                                   হৃদয়ের আঁচে।
প্রলোভনের তাড়া খেয়ে চলে আদি ভূমিতে
                    আপন আলয়ের খোঁজে।
পাঠশালায় ক্ষতচিহ্নের স্মৃতি! অস্থির ছড়াছড়ি
বাংলার মূলে পদাঘাত ছুঁড়ে চলি,বিদেশ ভুইয়ে।
ঘুম ভাঙ্গা রাতে বেদনার মর্মরে প্রতিমার চুম্বনে
    কেঁপে উঠি বকুল শোভিত বনে!
শরত সকালের উড়ন্ত আকাশে
শিশির বিন্দুর নীরব বৃক্ষের ছায়াতলে
রক্তস্রোতের অশ্রুবন্যায় কেঁপে উঠে ভয়ে!
স্মৃতিপথে ধুলি স্তূপ অথবা মরীচিকা।
ধমণীর রক্তপূজ আজ তৃষ্ণায় কাতর
ধীরে ধীরে হেঁটে  চলে দিগন্ত সীমানায়;
বিধ্বস্ত শরীরে নিরুদ্দেশে দৌড়ায় অজানায়
নিথর নিস্পন্দন বিরান ভূমিতে অথবা তীর্থ ভূমিতে;
অবশেষে আপন বসতির টানে প্রভাত ফেরিতে
নতুন পৃথিবীর খোঁজে।