সম্মুখে এগিয়ে
    দু’য়ে মিলে একাকার,
স্বাক্ষী কেবল নীরব রাত্রী।
কোন এক অজ্ঞাত কারণে
বিচিত্র রহস্যে অবোধ প্রাণীগুলো
                রাতের নির্জনতায়!
আমিও অপূর্ব-ক্ষত-বিক্ষত শরীরে
                সুনসান নির্জনতায়!
একাকী নিরব রাত্রিতে।
স্বজাতির নখরে স্বজাতি হত্যা
               নীরব প্রতিবাদ।
মুখ আর হাত দিয়ে নয়
     অন্তর থেকে
           এক মুখ থুতু ফ্যালে !
বোঝা বড় দায়
           হায় নিয়তি!
শূন্যতা আর নিরবতার মাঝে
      অদ্ভূত ধুম্র আলিঙ্গনে
          তারপর বদলে যায় শূন্যে !
অস্তিত্বের বদলে অংশীদার
অন্ধকার আর অবিশ্বাসের জাজিম।
নগ্ন থাবা অপবাদ
            আর প্রতারণা।
সোডিয়াম লাইটের ম্লান আলোতে
সদ্যফোঁটা গোলাপের নিষ্পাপ চাহনি !
আমের বোলের ভারে নুয়ে পড়া ডাল
       তবুও সে সৌন্দর্যে নিপুণ
                  গর্বে উদ্বেলিত।
আর আমি---
আমার ইচ্ছার পায়রাগুলো
দুমড়ে-মুচড়ে একাকার।
হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে দাঁড়াই
নিজের মিথ্যা সান্ত্বনায়!
স্বপ্নের সীমানার মতো
দু’ধারে পায়ে হাঁটা পথ
              কংক্রিটে বাঁধা,
ডানে-বায়ে কি যেন লেখা !
যেন স্বপ্নের আইল।
সম্মুখে একাকী নির্জনে
স্বাক্ষী শুধু নীরব রজনী।