পরমাণুর ভয়ে আজ পৃথিবী কাঁপে থর থর,
কত স’বে ধরণী! কেন করো এতো অত্যাচার!
ভগবান কাঁপে ত্রাসে
পৃথিবী কাঁপে সন্ত্রাসে,
সুন্দর ধরণীর, সুন্দর মানুষ, সৌন্ধর্যের আশায়,
বিজ্ঞানীরা মাথা খুঁড়ছে আজ আবিষ্কারের নেশায়।


যান্ত্রিক যুগ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর্যক্ষেণের ফসল,
নব নব উদ্ভাবনী তথ্য-তত্ত্ব দিচ্ছে তাঁরা অবিরল।
দ্যাখে না, কল্যাণ অকল্যাণ কিছু
ছুটছে সর্বদা আবিষ্কারের পিছু।
নতুন নতুন তথ্য দিলে, হবে অভিনব মান সম্মান
মরনাস্ত্র আবিষ্কারের ফলে, কাঁপে ধরণী-আসমান।


খেয়ালের বশে, আবিষ্কারের নেশায়, সম্মানের লোভে,
ধবংসের খেলায় মেতে ওঠে রাষ্ট্রনেতারা নগন্য ক্ষোভে।
যান্ত্রিক যুগের সাথে সাথে
পারমাণবিক শক্তি তার সাথে,
আধুনিক পারমানবিক যুগে আবিষ্কার করল নভোযান,
গ্রহ-উপগ্রহে পাড়ি জমিয়ে চালাচ্ছে নব নব অভিযান।


পারমানবিক বোমা, হাইড্রোজেন বোমা, ডিনামাইট অবিরল,
আবিষ্কারের নেশায় ছুটল মানুষ। মানুষ নামের বিজ্ঞানীদল।
ধবংসের খেলা, সৃষ্টির মিছিলে
নিঃশ্বাসে নিমিশে যায় মিলে,
কেন তবে এ আবিষ্কার! কেন এতা ধবংসের মিছিল?
ধরাতলে আজ চেয়ে দেখো , কলঙ্কের তিলক আচিল।


চেয়ে দেখো জাপানের দিকে, পারমানমিক বোমার কাণ্ড!
হিরোসীমা-নাগাসাকিতে দেখিয়েছে দাপট, কতো সে প্রচণ্ড!
নিঃশ্বাসের নিমিষেই শেষ!
এখনও আছে তার রেশ।
কয়েক সেকেণ্ডেই দু’টি শহর পরিণত হলো ধবংস স্তুপে,
আর্ত মানুষের হাহাকারে জাপান চাপা পড়ল লাশের স্তুপে।


এতো বিজ্ঞানের অবদান, মানবতার অপমান! জয়ী তব রাষ্ট্র,
প্রতিপক্ষ দমনে কূটচাল, রাজনীতির দমননীতি। মানবতা পথভ্রষ্ঠ।
পারমানবিক বোমায় সবই নগন্য
শতাব্দী-কাল ধরে রয় ক্ষতচিহ্ন!
বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে বহুদিন। আজ নতুন শতাব্দীতে আমরা,
তবু বিকলঙ্গ শিশু জন্ম গ্রহণ করছে! এ জন্য দায়ী কারা ?