রূপসী বাংলাকে দেখেছি আমি নানা রূপে শতবার,
মুগ্ধ নয়নে আজও দেখি বাংলার রূপ বারবার।
রূপে অপরূপ ষড়ঋতুর সোনার বাংলা কি বলব তাঁর!
সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা রূপ যে তাঁর উপহার।
বাংলার আনাচে কানাচে ফোটে ফুল চেনা অচেনা,
বারবার দেখি তারপরও থেকে যায় রহস্য অজানা।
ভোরের আলোয় শরতের শিউলি ঝরা শিশিরে,
মুক্তার মতো রূপ ঝলমল করে দূর্বা ঘাসে সোনালী ভোরে।
নদীর বুকে পালতোলা নৌকা যেন রূপসী নারীর নাক ফুল,
নদীর দু’তীরে বাতাসে দোলে শুভ্র সতেজ কাশফুল।
বাংলার রূপ দেখেছি আমি সোনালী ধানের হেমন্ত মাঠে,
মৃদুমন্দ বাতাসে শীতের গন্ধে নবান্নের ছন্দে মেতে ওঠে।
নতুন ধানের আনন্দে কৃষকের মুখে জারিসারি গান,
শীত কুয়াশায় শীতের জড়তা ফিরে পায় প্রকৃতির ঘ্রাণ।
যে দেখেছে বাংলার রূপ, সে দ্যাখে বারবার, আমিও দেখি;
মুগ্ধ নয়নে ঊষা-গোধুলিতে আমারা বাংলার রূপ দেখি।
শিশির ভেজা শীতের সকালে খেজুর রসে উৎসবে মাতে,
শীত বুড়ি এসে জুড়ে বসে রূপের দেশে সন্ধ্যা প্রভাতে।
ওমের জন্যে জড়ো সড়ো হয়ে বসে থাকে গায়েগায়ে সব,
প্রকৃতির বুকে গাছপালার যেন মধুর মিতালি ভাব।
অতিথি পাখিরা ছোটে মুগ্ধ নয়নে রূপের দেশের খোঁজে,
খাল নদী বিলে ফুটে থাকা শাপলায় রূপে আঁখি বোজে।
আমি দেখেছি বারবার রূপসী বাংলার রূপ মুগ্ধ নয়নে,
সোনার বাংলার নদী মাঠে ঘাটে বাংলার কবিতা গানে।