বার্ষার অবগুণ্ঠনে শ্রাবণ এসেছে দ্বারে,
প্রেমিকার বাঁধন হারা মন, দৃষ্টি বাইরে।
একটানা টুপটাপ দিনরাত সন্ধ্যা গোধুুলি,
দুরু দুরু মন সারাটিক্ষণ নব নব স্বপণে দুলি।


বর্ষাতে তাই অশ্রু সজল আঁখি টলমল,
প্রজাপতি ওড়ে, ফুটছে আজ শতদল।
শ্রাবণ মেঘ দূরে উড়ে চলে প্রেমিকার টানে,
মেঘ গুড় গুড় সন্ধ্যা আকাশে বারবার মন টানে।


হাসনাহেনার তীব্রগন্ধ আর ভেজা কাকের গোঙ্গানী,
সীমানা পেরিয়ে চলছে দৃষ্টি যেন বন্ধনহীন।
নারী তার কুন্তল খুলে বিরহ যক্ষের নেশায় অন্তঃপুরে,
নিটোল দু’গাল শ্যামল সুন্দর অশ্রুসিক্ত দু'হাত ওঠে বারেবারে ।


নগ্ন ঠোঁটে কাঁপুনি খেয়ে চৌচির অন্তর এ বর্ষায়,
নদ-নদী তার বুক ফুলিয়ে দেয় নব যৌবনের নেশায়।
প্রতিদিন যায় মেঘগুলি প্রেমিকার ক্ষুধার্ত দৃষ্টি,
দিগন্তে মিলে যায়, জানালার বাইরে অপলক দৃষ্টি।


বুকভরা আশা, কতনা মমত্ব! শ্রাবণ সন্ধ্যা ঘরে,
কাশবন পেরিয়ে, কাঁটাবনের দক্ষিণে, না আরো দূরে।
নদীর ভরা যৌবন খালবিল, নদী-পুকুর কানায় কানায় ভরা,
অর্ধনির্মিলিত চোখে গম্ভীর মেজাজে দেখছে ধরা।


হঠাৎ ঝাপসা কিংবা ডানা ঝাড়া মেঘ গুলো,
চুম্বন খেতে আকাশ থেকে নীচে আসে প্রেমিক যেন ধুলো।
সন্ধ্যা গড়িয়ে কখন যে ঘড়িটা টুং টাং একটানা,
জানিনা কিছু। ওপাশ থেকে শব্দ এলো এই যাবি না।