এই শাশ্বত বাংলার বিচিত্র শোভা ফসলের মাঠে
নদীর বাঁকে বাঁকে , প্রকৃতির মাঝে, সাগর তটে।
হেমন্তের শিশির ভেজা সোনালী ধানক্ষেতের আলে,
কৃষকের গানে প্রাণ জুড়ায় কৃষাণীর গৃহতলে।


সোনার বাংলার রূপসী হেমন্ত আসে নবান্নে,
সবুজ বাংলায় সোনালী উৎসব নব আয়োজনে।
শীত কুয়াশা জড়ানো মাঠে উদাসী হাওয়ায়,
নৃত্য করে প্রকৃতি মেঘ আর কাশফুলের ছোঁয়ায়।    

রূপের ছোঁয়ায় হেমন্ত আসে বাংলায়,
শুভ্রতার শোভাবর্ধনে নারীর রূপচর্চায়।
উজ্জ্বল সূর্যোদয়ে প্রকৃতি পূর্ণযৌবনে ধায়
উজ্জ্বল শোভা সোনালী আভা হেমন্তের বাংলায়।


বাংলার হেমন্তের মাঠে নদী-খাল-বিলে
শাপলা-শালুক রূপের ঝলকে দোলে।  
এক পায়ে সাদা বক থাকে দাঁড়িয়ে,
আধাপাকা ধানক্ষেতে দূরে তাকিয়ে।


দল বেঁধে চলে শিউলি তলে সোনালী ডালায়,
কৃষাণী দোলে প্রকৃতির রূপে মাতাল হাওয়ায়।
নৃত্যে মাতোয়ারা মৃদু সমীরণ আকাশ জুড়ে,
কাশফুল ছুঁয়ে দেয় মন নববধুর হৃদয় জুড়ে।


শিশির ভেজা ভোরে নুয়ে পড়ে শিউলি ফুল
মাটির মমতার চুম্বনে ঝরে পড়ে শিউলি-বকুল।
এই শাশ্বত বাংলায় হেমন্তের মায়াবী রূপ,
শীতের আগমণে প্রকৃতি বড়ই অপরূপ।


হেমন্তের কুয়াশা জড়ানো সকালে খেজুর গাছ হাসে,
শীতের আগমনী বার্তা বাতাসে বাতাসে ভাসে।
ঘরে ধান তোলার আনন্দে কৃষাণী বিভোর
হেমন্তের মায়াভরা হাতছানি খোলে দোর।


দু’চোখে খোঁজে আগামীর স্বপ্ন
                             সুখ নবান্নের উৎসব পর্বনে ,
মেতে ওঠে হেমন্ত বাংলায় যাত্রা, জারিগান,
                               ধর্মসভা, মেলার আয়োজনে।
সোনালী হেমন্তে কবিতা, গান, গল্প, ছন্দ, উপন্যাসে
শিশির জড়ানো মায়াবী রোদে নৈসর্গিক চিত্র ভাসে।
                                       (২৯ নভেম্বর ২০১০)