এই শুভদিনে প্রভু এদের দীক্ষিত করো!
অন্তর পাক-পবিত্র আর কোমল করো
                      হে মোর অন্তরযামী!
ধবণি উ’ঠছে আজ ধরণীতে শান্তির বাণী,
ফুলেফুলে প্রজাপতি ওড়ে; ফড়িং লাফায় ঘাসে
দীক্ষিত করো এদের! যেন শান্তির বাতাস আসে।
                      
                        হে মোর মহাপ্রাণ!
মধুময় ধরণী গড়তে আজ করব সব দান।
মৃত্যুর সাথে মহামিলনের আর্শিবাদ,
খেটে খাওয়া মানুষের দিও না অপবাদ।
মৃত্যুর ফাঁদে, ছলনার জালে মিশে মিশে;
ঘাত প্রতি ঘাতে অবশেষে পাইনা দিশে।
                
                  এ কোন বঙ্গবাসি!
অধিকার অদয়ে কেন এত উদাসী ?
সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না, আঙ্গুল বক্র করো;
এই শুভদিনে জাতির সামনে নতুন শপথ করো।
সুন্দরী বসুমতি আজ এ কোন পাপের সর্বনাশী!
ওদের কথা শুনে বাংলার আকাশে কাঁদে শশি।

                 জাতির সম্মুখে এ কোন গ্লানি!
দীক্ষিত করো! দীক্ষা দাও! বন্ধ করো হানাহানি।
তোমরা মহীয়ান, তোমাদের আছে রক্ত রাঙা ইতিহাস;
কেন? তবে আজও হয়ে রবে , ওদের কৃতদাস।


                     হায়রে জনম দুঃখী জাতি!
এত অপমান তবু বুঝলে না, কিযে হ’ল ক্ষতি।
এই শুভদিনে অন্তর পবিত্র করো কাণ্ডারি,
জাতিভেদ শ্রেণি বৈষম্য কমানো খুবই দরকারি।
অত্যাচার করো না, ঐ দেখ জেগেছে নিপীড়িত জনগণ;
শুভদিন। শুভদিন। উন্নতশির ভুলেছে সব অভিমান।
তোমার স্কন্ধে বিজয়ের পতাকা, তোমার আদেশে সব চলে;
কোটি জনতার অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে কিসের বলে।


                     হে মোর দেশ জনতার অধিপতি!
হেন দুর্দিনে! স্তব্ধ নিশীথে আবার জ্বলছে সব বাতি,
কান্ডারি! শুভদিন এসেছে, জাগিয়ে তোল তেমার মানবতা ;
জাতিভেদ, ধর্ম বর্ণের বিভেদ ভুলে, সাম্যে আনো সমতা।