জীবনের খেয়াঘাটে চলে যৌবনভেদ খুনসুটি,
কালনিরবধি ক্লান্ত জীবনের একঘেয়ে রুটি;
           স্মৃতির অস্থিরতায়
         নীলাবর্তনের পূর্ণিমায়
জলমগ্ন পদ্মপ্রাণ, দূরদেশে প্রিয়া অভিমানী,
আত্মার যন্ত্রণায় অবিনাশী গান দুঃসহ গ্লানি।


জীবন পঞ্জিকার স্মৃতিপটে প্রেমগীত খুঁজি,
অমানিশার আঁধারে গোপন সুরের হৃদয়রাজী;
        মনুষত্বের নির্লিপ্ততায়  
        জীবন প্রদীপ হারায়,
নিমগ্ন সারাক্ষণ তৃপ্তির অপূর্ব ভনিতায়
আসল প্রাপ্তির ভয়ংকর ঘূর্ণিপাকের প্রতারণায়।


স্নেহ-ভালোবাসা পৃথিবীর ভাললাগা ফাল্গুনী মুখ,
কুৎসিৎ ঘটনায় মুক্ত-শান্ত সমীরণ আজ দুখ;
          রঙ্গীন শূন্যগর্ভে,
          লুপ্ত বিশ্লেষণে,
পাথরের বুকেতে প্রণয়ের শূন্য ঢেউ,
স্বপ্নের আঙ্গিনায় ভালোবাসার নেই কেউ।


বিবর্ণ স্বপ্নের বৃন্তচ্যুত আজ স্বপ্নের মিছিলে,
রৌদ্রের আরশীতে লু হাওয়া বয় প্রতীক্ষার দিলে।
       পুষ্পিত তরু বীথিকায়
        মুক্তির স্মৃতিময়তায়।
তবু ছুঁড়ে দিই পৃথিবীর শূন্যতার বুকে,
নিঃশ্বাসে ক্ষয়ে যায়, বিশ্বাসহীনতায় ধুকে।


আশ্চর্য বন্ধন নীলকষ্ট ফিতায় মুক্তির প্রয়াসে,
সময় পরিক্রমায় যৌবনের খেয়াঘাটে এসে
           অনন্তের নীলিমায়
         বুকের কোমল মৃত্তিকায়,
পূর্ণতা পায় শেষে, রাতের তৃষ্ণার্ত ভালোবাসায়,
অজান্তেই ডুবে যাই হৃদয় ভাবনার আঙ্গিনায়।


নিশীথের বুকে জোনাকির র‌্যালি কোমল নিদ্রায়,
অনন্তের তটে ফুলের অনূঢ়া কুড়ির সমভাবনায়;
           বেদনার আলিঙ্গনে
            স্মৃতি জাগরণে,
ধিকৃত অপঘাত জীবনযুদ্ধের খেয়াঘাটে,
শান্তির খোঁজে জেগে উঠি আবার জীবন তটে।