দূর দিগন্তে দৃষ্টি মেলে থাকি শূন্যতার নীপিড়নে;
উদ্দীপ্ত মিছিলে কেন যেন দিশেহারা!
স্বদেশীয় সীমানার গোধুলির চুম্বনে!
শূন্যতায় বিনিদ্র রজনী কাটে নীপিড়নে।
প্রশান্ত বুকে স্নেহের জ্যোৎস্না, তবু অপমৃয়মান!
অশ্রুবিন্দু মুছে দেখ স্বপ্নসুন্দর আলোক নির্মাণ,
ভালো কিছু ধ্বংসের যাদু ঘরে
শূন্যতায় ঘেরা নষ্টদের অধিকারে ।
মৌমাছির গুঞ্জনে জেগে ওঠে দীপাবলি,
বোধহীন শ্রবণশক্তিহীন নিঃস্পৃহ ইন্দ্রিয়গুলি!
ঘুমহীন ক্লান্তির জনপদে
নিভে যায় দূর আকাশের আলো বিপদে।
স্বপ্নতাড়িত স্মৃতিগুলো ধূসর পর্দদায় দোলে
নীপিড়নের গোধুলি মোড়ানো রূপালী বিকেলে,
শূন্য চরাচরে আঁখির গোলকে ভূলোকে
ছায়াযোগে চলি লাস্যভূমিতে।
তারপর আপন আসনে বসি তূর্ণা-নিশিথা ট্রেনে,
দূর দিগন্তে কেঁদে ফিরি আপন নীপিড়নে।