তপ্ত বালুকণায় চমকে উঠি মধ্য দুপুরে,
ধ্বংসের তাণ্ডব! কালো ধোঁয়া নীল আসমানে;
শঙ্কিত সত্তায় জেগে উঠি নিশিরাতে।
তার ডাকে
কেঁপে উঠি হৃৎপিণ্ডের জমাট রক্তে
আজন্ম লালিত মিশনে
অগ্ন্যুৎপাতের মহাপ্লাবনে।
আথবা কোন হনন উৎসবে!
অন্তঃস্রোতে ছায়া দেখি শোকার্ত মানুষের মিছিলে,
স্বপ্নের মাঝে দুঃস্বপ্নের খাদে!
শূন্য উদ্যানের স্বপ্ন আর বাস্তবের মাঝামাঝি!
শক্তিত সত্তার সুপ্ত ভবিষ্যতে
মানবিকতার দহন শক্তি থেকে সহন শক্তিতে
বিস্ময়ে হতবাক হই!
ফলবতী সোনালী ভাণ্ডারের সহিষ্ণু সত্তায়
দীর্ঘ অন্তিম শয্যায়।
বিচিত্র ঘ্রাণে জেগে উঠি শঙ্কিত সত্তায়
তার ডাকে। উচ্ছ¦সিত ঘোলাটে বিকেল ছায়ায়।
অরণ্যের ছায়াঘেরা শীর্ণক্রোধে
তার আহবানে , বজ্রছবির গ্রীষ্ম দুপুরে!
বৈশাখী হাওয়ায় স্মৃতি ভুলি, ক্লান্তির মায়াজালে।
অবিচল সংহার পিপাসায়
আদিম সত্য খুঁজি অন্ধ আত্মীয়তায়;
মায়াভরা চোখে আলোর ইশারায়।
বিবেকের স্রোতে মন বিষণ্ন বিহবল, ভাবায়
এরই মাঝে তার ডাকে দুলে উঠি শঙ্কিত সত্তায়!
হাতছানির প্রলোভনে আহার্য ভুলে
বোধি আর প্রমা সমাধির নীলাচলে
নীরস বেদনা ডর করে।
সন্ধ্যা সংগীত ভুলে আলোকিত অন্ধকারে।
অদৃশ্য বেড়াজালে দুঃস্বপ্নের গিরিখাদে, তার ডাকে;
দিবস রজনী ভোরে জেগে উঠি শঙ্কিত সত্তায়!