নারীকে দেখেছি পরমাত্মার আপন সত্তায়
                                   মমতার ছোঁয়ায়,
অনুপ্রেরণার রূপকার বাংলার মনোভূমিতে,
ভালোবাসার ফুল ফোঁটায় সংসার জমিতে।
হিংসা-বিদ্বেষ-পরশ্রীকাতরতা ভুলে, হয়ে ওঠে মা!
বাস্তব জীবনে নারীর পরিচয় মমত্বে, মা।
কখনো মমতাময়ী মা, কখনো স্নেহময়ী বোন,
কখনো ভালোবাসার ফুল, আবার কখনো
                                      দায়িত্বশীল স্ত্রী।
শেষ জীবনে একমাত্র সঙ্গী, নিঃসঙ্গতার সাথী।
তবুও নারী আজ বাস্তব জীবনে প্রতি পদে পদে
অবহেলিত, নির্যাতিত, দিশেহারা  আঘাতে আঘাতে
                              তবুও সে সর্বংসহা।
নারীর অবহেলার রূপ সবটাই থাকে আড়ালে।
নারীর দুর্নিবার ভালোবাসার ফুল, ওঠে দুলে!
নারীর সরলতা অসহায়ত্ব নিয়ে করে লাঞ্চনা,
পুরুষ শাসিত সমাজে নারীকে নিয়ে কেউ ভাবে না।
যে নারী তার প্রিয় মানুষটিকে সুখী ও খুশি করতে
   প্রস্তুত থাকে জান-পরান দিতে।
                সে নারী আজ প্রতি মুহূর্তে!
প্রতিনিয়ত মুখেমুখি নির্যাতনে।
জীবনের বাঁকে বাঁকে অমর্যাদা আর বেদনা
নারীত্বের অপমান বাঙালি সমাজে নিত্য ঘটনা।
ভালোবাসার টানে ঘর থেকে বের হয়,
পুরুষ শাসিত সমজে বঞ্চিত নারী প্রতারিত হয়।
       নারী চায় প্রেম, সুখের সংসার
নিজের অজান্তেই বিক্রি করে সত্তার।
অন্ধকার পথে হারিয়ে যায়। সম্ভ্রম লুট হয়!
টাকার বিনিময়ে প্রতিরাতে হাত বদল হয়।
জীবন সংগ্রামে মানষিক যন্ত্রণায় অপমানে,
ঘৃণা আর ক্রোধে বেছে নেয় আত্মহননে।
নারীর অপমান নিত্যঘটনা সমাজের পরতে,
যৌবন রসে প্রেম আবেগে বসে বিয়ের পিঁড়িতে।
আদর সোহাগে ভরে দেয় সংসার,
স্বামী-শ্বাশুড়ির অমানবিক নির্যাতন জোটে তার।
সন্তান আর বাবার সম্মানের দিকে চেয়ে
অপমান, সব কিছু সহ্য করে ভয়ে ভয়ে।
অবশেষে পুরুষ শাসিত সমাজের মুখে থুতু দিয়ে,
     মৃত্যুর কঠিন পথ বেছে নেয় অসময়ে!
                                       (২৪ নভেম্বর ২০১০)