বড় উদাসীন সরল আমি কাজ করি শহরে
বিশ্বাসে সপে দিয়েছি সব নিজের সহোদরে।
মেহনতের ঘামে প্রাপ্তি মাস শেষে বেতন,
সহোদর খরচ করতেন নিজের মনের মতন।
পিতার পিরিত কালে ডাক্তার দাওয়াই হাজির
সহোদর নিজের তোরে এলানেতে জাহির।
ছিলাম একান্ন বর্তী তবু আপন আপন মনে।
আপন অর্থ করিয়া চালাক গোপনে জমি কেনে।
সহোদর বলিল ডেকে ধরে হাত দুখানি
তুই ছাড়া কে আছে আমার ভাইটি জানি
তুই থাকিস শহরে আমি থাকি গ্রামে
জমিজমা সবকিছুই রাখি নিয়ন্ত্রণ।
তোর নামে উত্তরপাড়ে কিনেছি বিঘা দশ
পশ্চিম পাশে নদীর ধারে আরো বিঘে পাঁচ
শহর থেকে যেমনি করে দিতে আমার হাতে
এমনি চালিয়ে যা, তোর নামে লইব জমি কিনে।
ওগো দেও বড় মুড়োটা ভাইয়ের পাতে।
পিতা চলিয়া গেছে , মনে রইলো ক্ষত
চাইবে যখন ফেরত দেবো জমিজমা যত।


মুখে মুখে সবই দিল কাগজ নাহি পাই
সহোদরের বিচার দিতে কার কাছে যাই,
একে একে সব কিছু নিল ,
বলেছিল-আমার তাই
নিজের পরিবার নিয়ে কোথায় যে হারাই।


সহোদর লোভের কাছে হইল পরাজিত
আমার ছিল যা কিছু করল কুক্ষিগত।
সহোদরের পঞ্চপান্ডব একই নীতিতে গাঁথা
ছোটবেলার আদরের ছিলি বুঝলোনা মনের ব্যথা।
আজ শাসালো আমায়,পক্ষে নিয়ে পিতার কর্মে
এ জুলুম সইবেনা আল্লাহ্, বিচার পাবো ধর্মে।


আমার আওলাদ আজ বলে হেলে দুলে
তোমার যা আছে বাকি দেও তাকে সমূলে
অজ শুধু বিঘে দুই ছিল মোর ভুঁই
আর বাকি সবই নিলো মোর চাচায়
মরন কালে কি করে এ জমি তারে বাচায়।