সবুজে অনন্য,রূপে লাবণ্য,আমার রূপসী গাঁ
পাখপাখালির কুহু কলতান,থাকে দিনমান।
ভোরের ঊষায় দোয়েল-শালিক,সূরের মূর্ছনায় মাতে
মিষ্টি মধুর সেই সুরেতে,রাঙা প্রভাত,রক্তিম আভা পায়।
দোয়েল কোয়েল ময়না টিয়ে,ছোট্ট টুনটুনি পাখি
নানান সূর-মূর্ছনায় মুখরিত থাকে,রূপসী আমার গাঁ।


বসন্তের মাঝে ফুলের সাঁঝে কৌশলী পাখি কোকিল
উঁচু-নিচু সুরেলা তরঙ্গে কুউ-উ, কুউ-উ করে ডাকে।
বন বাদারে চষে বেড়ায় হরেক রকম পাখি।
মিটিমিটি জ্বলে রাতের জোনাকি,মন জুড়িয়ে যায়।


তালের ডালে,বুনে যায় নীড়,বুননি পাখি বাবুই
দৃষ্টিনন্দন,নিপুণ কারুকাজে খচিত,মজবুতে খাসা নীড়।
শৈল্পিকতায় নয়নাভিরাম,হ্নদয় ছুঁয়ে যায়।
বউ কথা কও গানের পাখি,স্বরে ডাকে- বুকো-টাকো
শুনি সবাই ”বউ কথা কও”বড্ড মজা পাই।


পুকুর,জলাশয় কি নাইরে ভাই,আমার রূপসী গাঁ?
রুই,কাতলা,শিং আর মাগুর,পাবে আরো কই ও চিতল
স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় ভীষণ অমৃত লাগে।
এমন গাঁ পাবে না আর বিশ্বভূবন ঘুরে।


আমার গাঁয়ের চতুর্দিকে,বহে সমান্তরাল নদী ও সাগর
স্বপ্নে আঁকা ছবির মত,প্রাণের স্পন্দন জোগায়।
মাঘের শীতে নদীর মাঝে স্বচ্ছ ও নীল  স্রোত ধারা
মিশে না কভু একে অপরে,ভীষণ বৈচিত্র লাগে।


কৃষ্ণচূড়ার রঙিন আভা,দ্যুতি ছড়ায় আমার সারা গাঁ।
টুকটুকে লাল শিমুল-পলাশ,সৌরভ ছড়ায় বেলী,গোলাপ।
হাসনা হেনা,গন্ধরাজে মন আমার আনচান করে
চাঁদের আলোয় অনিন্দ্য সুন্দর,ষড়ঋতুর রাজকুমারী।
রূপে অনন্য,স্নিগ্ধ সুন্দর,চির চেনা সবুজ আমার মা
ভুলিতে পারিনা ক্ষণিক তোমায়
চির আপন সেই আমার গাঁ।