যখন মনু নদীর দু-পাশ শুভ্রতার কাপনে ঢেকে যায় ক্ষনিকের তরে;
যখন রৌদ্র বৃষ্টিতে ভিজে যায় দুষ্টু বালিকার দল....
যখন ঈদের আনন্দে সবাই বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নেয়...
দুর্গোৎসবে মত্ত থাকে ওরা---
আর আমি সুরমার ঢেউয়ে পাল তুলি কাগজের নৌকায়।
নিতান্ত স্বার্থপর আর আত্নবিলাসী হওয়ার মন্ত্র শিখেছি শরতের কাশফুলের কাছে...
শরত এলেই আমাকে ধুমড়ে মুচড়ে দেয় জীবনের বাস্তবতার অনলে....
শরত এলেই উদাসীন হই আমি...
যৌবনের ক্ষেতে খরা নামে,
কলম থমকে দাড়ায় কি জানি এক ব্যস্ততায়
শরত এলেই আমি ভূলে যাই আমার আমিকে...
সহসা ভূঁতের সাথে খুনসুটি করি...
এই শরতেই আমি শিখেছি প্রতারণা,
ছলনা কিংবা নিষ্ঠুরতা।
শরত এলেই রক্তশূণ্যতায় ভোগে আমার কলম,
শরত এলেই কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের দরকার হয় আমার।
শরত এলেই একটু বেশীই ভালবাসি তাকে;
শরত এলেই উজাড় করে দেই আমার বাগান...
মৌনতায় হারিয়ে যায় আবেগ; জমিয়ে রাখা কাঁচা বয়সের সব মায়া।
শরত এলেই স্বার্থপর হই আমি --
শরত এলে সাদা বকের দলের সাথে হারিয়ে যেতে ইচ্ছা করে না আমার।