-আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে মেঘ, ঠিক শুভ্র
নাকি ধূসর ছাই রঙের- এই মুহূর্তে অস্পষ্ট।
আনন্দ আর খোশ গল্পে মত্ত সূর্য সন্তানরা,
এদিকে ইতিহাসের পিঠে খামচি মারতে
শকুনের দৃষ্টি স্থির!


-অতীতের সাতচল্লিশ কাঁদছে,
বায়ান্ন কাঁদছে,
একাত্তর কাঁদছে!
শুধু দুই হাজার নয় হাসছে,
হাসছে নব সময়ে গঠিত বাংলাদেশ,
হাসছে কাঁটা তারের সীমান্ত বন্ধু।


-আজ হল রুমের টেবিল-চেয়ার;
বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পড়েনি,
আজ হল রুমের প্রফুল্লতা;
দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা মাথায় রাখেনি!
সঙ্গে হল রুমের মঞ্চ;
জাতিকে চন্দ্র গ্রহণের ঘুটঘুটে অন্ধকার শো দেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে,  
হল রুমের দেয়াল;
রক্তের তুলিতে ইতিহাস আঁকবার প্রস্তুতি নিচ্ছে!


-নেকাব মুখে এগিয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ইনকিলাব।
কেউ আসছে বুলেটের মালা গলায় ঝুলিয়ে,
কেউ আসছে মেশিনগান কাঁধে নিয়ে,
কেউ আসছে গ্রেনেড হাতে,
চারদিকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজমান-
যদিও সূর্য সন্তানরা বুঝতে পারলেন না!
আচমকা ফায়ার!;-
একেকটি বুলেটের আঘাতে
যেনো মাটিতে লুটিয়ে পড়তে লাগলো
জতির বহু কষ্টে অর্জিত একেকটি সূর্য।


-মুহূর্তের মধ্যেই রচিত হলো;
ছেলে হারা বিধবা মায়ের শূন্য বসত ভিটা,
থেমে গেলো;
বাবা হারিয়ে ছেলের সফলতার ঘড়ি,
কবর হলো;
নব্য বিবাহিত স্ত্রীর রঙিন স্বপ্ন অঙ্কটির,
আমরা পেলাম;
একটি মেরুদণ্ডহীন বাংলাদেশ,
বর্তমান বাংলাদেশ পেলো;
একটি দীর্ঘমেয়াদি মজবুত সমাধান।


আল মামুন
২৫|০২|২০১৯
    চট্টগ্রাম