অসভ্যতার নির্দয় চাবুক সভ্যতার পিঠে
করে চলেছে গভীর ক্ষত। প্রতিরোধের
দুর্বল দেয়ালে ধরেছে ফাটল। খসে যাওয়া
ইটের ফাঁকে লজ্জায় মুখ লুকায় লকলকে
লাউয়ের ডগা। রাতের আঁধারে হঠাৎ উধাও
নদী খাল বিল জলাশয়; অতিশয় চাতুর্যে।
অসহায় মাছের চোখে দেখি মৃত নগরীর
ধ্বসে যাওয়া প্রাসাদের পাথুরে লাশ।
স্যুয়ারেজ ড্রেনে জমে থাকা আবর্জনার মতো
চিন্তার নালাতে জমেছে আবর্জনার স্তুপ।
ক্ষতের কীটের মতো কিলবিল করে
অবিরাম ছুটে চলে মানুষ; কার গন্তব্য কোথায়
কেউ জানে না, কেউ তাকায় না কারো দিকে।
শুধু ছুটে চলাই যেন জীবন। সভ্যতাবিনাশী
বেহুশ ছুটে ছুটে হয়তো ঠাঁই হবে একদিন
কালের করাল কৃষ্ণগহবরে।


সভ্যতার সাক্ষী সুরম্য অট্টালিকার ভারী পা
চেপে ধরেছে বুকে। নিঃশ্বাস বন্ধ। দু’চোখে
ঘনিয়ে আসে রাতের অন্ধকার। দু’হাতে ঠেলে
বুকে চেপে ধরা কষ্ট সরাতে না পেরে-
সভ্যতার পাথুরে লাশের উপরেই গড়ি ভবিষ্যতের ভীত;
বেদনার অনলে পোড়া হৃদয়ের ছাইভষ্মের স্তুপে
খুঁজি হারানো সোনালী অতীত।
২৪-৪-২০১৮