ভরদুপুরে বুকের খাঁচায় বন্দী পাখির
ছটফটানি
ঠিক যেন এক সূতাকাটা ঘুড়ির মতো
ঘুরতে থাকা এলোমেলো!


কানের ভেতর অষ্টপ্রহর নষ্ট বাঁশির
সুর শুনে যে পাগল হলাম; পথে এলাম;
পথ হারালাম; দিন ফুরালো!


এখন আমার বুকের ভেতর চৈত্রদিনের পাতা ঝরে
সঙ্গীহারা একটা ডাহুক রাত্রিনিশি কেঁদে মরে
নেয় না খবর কেউ যে কারো কত মানুষ
এলোগেলো!


চোখের কোণায় জলতরঙ্গের ঝরঝরানি
আলোর পাশে পতঙ্গমুখ কালো স্মৃতির
ঘুরঘুরানি কেউ দেখে না, কেউ বুঝে না!


ঘরে আমার মন টেকে না, পা চলে না মাটির ওপর
মাথা থেকে পাতার মতো খুব নিরবে
খসে যাওয়া ঠিক যেন এক কৃষ্ণ অলক
শূন্যে ভাসি ঘূর্ণি হাওয়ায় পাখির পালক
আদর করে বললো না কেউ কাছে এসে
ভালোবেসে ঘরে চলো!


দেহের ভেতর অদৃশ্য এ ছটফটানি
কেউ দেখে না, দেখে কেবল রাতের তারা
এ সৌরলোক
তবু বলি এ জগতের সকল মানুষ সুখে থাকুক
আমার থাকা না থাকাতে কী আসে যায়
সুনন্দিতা ভালো থাকুক!


সবার কি আর ঘর থাকতে হয়; জীবন কি হয় খুব গোছালো?
সঙ্গী না হয় হলো আমার উদার আকাশ, পথের ধুলো!
১-১২-২০১৯