ছন্দনদী অষ্টপদী-এই ফরমেটটি আমার উদ্ভাবিত ছড়া/কবিতার নতুন কাঠামো। চতুর্দশপদীর অনুরূপ অষ্টপদী। যার পঙক্তি সংখ্যা আট এবং প্রতি পঙক্তিতে থাকবে আট অক্ষর। এভাবে আট অক্ষর এবং আট পঙক্তির পরম্পরার মাধ্যমে একাধিক অষ্টপদী দ্বারা দীর্ঘ একটি ভাবকেও প্রকাশ করা যাবে। নিরীক্ষাধর্মী এই কাঠামোটির উৎকর্ষ সাধনে ছান্দসিক কবিগণের যে কোন পরামর্শ সাদরে গৃহীত হবে। আশা করি কবিতার রাসাস্বাদন থেকে কাব্যামুদি পাঠক বঞ্চিত হবেন না।


আপনাদের জন্য ধারাবাহিক এই আয়োজনে আজ ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে ৪৭-৫৩পোস্ট দিলাম।



বেদনার বিধুলোকে


৪৭
আকাশের মতো নীল
ব্যথা নিয়ে পরিপাটি
পড়ে থাকি একা একা
জানে রাত জানে মাটি!


জোনাকির আলো জানে
কত ঢেউ ভাঙে বুকে
সরোবর থরোথর
বেদনার বিধুলোকে!
২৪-০৭-২০২০


স্মৃতি ঝরে ঝুরঝুর
৪৮
হয়তো তেমন কিছু
হতে পারিনি জীবনে
দিতেও পারিনি কিছু
আমাকে রাখিবে মনে!


ইচ্ছে ছিল কত জমা
বুকে- নরম অঙ্গনে
গেঁথে দিই সুক্ষ্ম সত্তা
সমাদরে সঙ্গোপনে!


৪৯
চাপায়েছি নিজ ঘাড়ে
ব্যর্থতার সব দায়
গ্লানিময় কালি রেখা
তোমাকে না যেন পায়!


অতি বেশি অভিমানী
চাপা স্বভাবের বলে
জানিলে না তুমি তাও
একা একা মরি জ্বলে!


৫০
এখন আমার শুধু
অখণ্ডিত একাকীত্ব
অবিন্যস্ত অবসরে
খর তাপে গলে চিত্ত!


যখনই আসে দ্বারে
অরুণিমা প্রীতি ভোর
চোখের জলের সাথে
স্মৃতি ঝরে ঝুরঝুর!
২৪-০৭-২০২০



বেদনার দাপাদাপি
৫১
ভুলে ভরা জীবনের
হবে কবে অবসান
বেদনার দাপাদাপি
সয় না যে আর প্রাণ!


চেয়ে দেখি অনিমেষ
দূরে নীল আসমান
মেঘেদের মতো দুখ
হৃদে রয় ভাসমান!


৫২
সকলের মতো ঢালে
আশীবিষ রাশি রাশি
সযতনে পোষা মোর
ভিতরের অধিবাসী!


কী রকম ব্যবধান
দুজনার মাঝে আছে
এতো কাছে আছি তবু
কেউ নেই কারো কাছে!


৫৩
ঝিলমিল দুটি ঠোঁট
ভুল আর বেদনার
কেন জানি আমাকেই
ছুঁয়ে দেয় বার বার!


কূলছাপা বরষার
জলে ভাসে দুই চোখ
তীর ভাঙে নীড় ভাঙে
জমে বুকে ঘন শোক!
২৬-০৭-২০২০