কষ্টের কামড় খেতে অভ্যস্ত শরীর। এখন এখানে-
চুম্বনের ঘ্রাণে নামে না আষাঢ়ী বৃষ্টি। মিষ্টি সুবাসের ফুলে-
সাজে না বিলাসী ভাবনার বাসকী বাসর।
হেমন্ত মাঠের সরিষা সঙ্গমে এখানে আসে না আর -
বেকুল ভ্রমর। ধানের পরাগ বাতাসে ওড়ায়-
হতাশার বুদবুদ। হৃদয় নদীতে থেমে গেছে আবেগের ঢেউ।
কলাপাতা যৌবন দোলে না বাতাসের তালে। জীবনের-
সব রঙ মলিন ধূসর। কাফনের মতো কুয়াশা চাদর-
বেঁধে রাখে নক্ষত্রের মুখ, রাতের নেকাবে।
এখানে আসে না আর আশার উষসী আলো।


প্রেমহীন জীবন সে এক শস্যহীন মাঠ, বিরান প্রান্তর
প্রখর রোদের দিন শেষে গোধূলির আভায় নির্জন-
রাতের প্রান্তর গমনের সর্বাত্মক আয়োজন শুধুই এখানে।
তবুও শরীর মাঝরাতে ঘুমভাঙা শিশুর অসহ্য বিরক্তি ছড়িয়ে-
জেগে ওঠে। আড়ষ্টতাকে তাড়ায় উষ্ঠা  দিয়ে। আগের মতোই-
দয়িতা দিগঙ্গনার আদুরে শরীর খোঁজে কখনো কখনো।
কান্নার শিশিরে ভিজে খড়ের আগুনে পোড়া মন
দুচোখের উপকূল ছাপিয়ে ভাসায় বুক ব্যথার প্লাবন।
এমন দাম্ভিক দহনের ক্ষণে মনের গহীনে  শ্বাস ফেলে-
আশার শুশুক। মনে হয় কেউ একজন বুকে মাথা রেখে
গভীর আস্থায় বলুক, "কেঁদো না, আমি আছি; তুমি একা নও"।
১২-১০-২০২১