বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক
শেখ মুজিব, নাকি মেজর জিয়া;
এই নিয়ে যখন তুমুল রশি টানাটানি
তখন মাঝখান হতে কে যেন
চিৎকার করে ওঠল, “চট্টগ্রামের হান্নান।”


মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ধর্ষণের মচ্ছব তো
শুরু হয়েছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের
পর হতে। সুদীর্ঘ একুশ বছর ধরে
ধর্ষণ করা হলো ইতিহাস। লাশকাটা ঘরে
ব্যবচ্ছেদ করা হলো পবিত্র সংবিধান। অথচ
পাশেই পড়েছিলো নির্বিকার; ৩০ লাখ
শহিদের কঙ্কাল করোটি, লজ্জাবনত মুখে।


আজও ধর্ষণ করে চলেছে ইয়াহিয়া আর
মোস্তাকের প্রেতাত্মারা, অভিনব কায়দায়।
ধর্ষিত ইতিহাসের পেট ফেটে বের হওয়া
নিলাজ শাবক আবার ধর্ষণ করে দার্শনিকের
অবয়বে। একধাপ এগিয়ে তত্ত্ব দাঁড় করায়
বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিব নয়;
মেজর জিয়া। আর এভাবেই বিকৃত
মানসিকতায় ধর্ষণের শিকার ইতিহাসের
শরীর থেকে খসে যাচ্ছে রক্তিম বসন।
ধর্ষকের তীক্ষ্ণ নখের আঁচড়ে ক্ষত-বিক্ষত
দেশমাতার গৌরবময় স্পর্শকাতর শরীর।


কেননা; ইতিহাসের রাখাল রাজা আজ মৃত।
৭-৪-২০১৮