তোমার জন্য সারাসকাল, সারাদুপুর, সারাবিকেল, রাত
ভাবনাগুলো গুছিয়ে নিতেই হয়নি চোখের ঘুমের অবসর
ভোরের বাতাস, ফুলের সুবাস ছড়িয়ে দিতো রোদের কোমল হাত
তোমার ছায়া কুড়িয়ে এনে জুড়িয়ে দিতো ভরিয়ে দিতো ঘর।


অনেক চাওয়া, অনেক পাওয়ার সুখ সাগরে যখন তখন ভেসে
ঠোঁট ছুঁয়েছি, চোখ ছুঁয়েছি, সুতি শাড়ির ভাঁজ ভেঙেছি শাসনবারণহীন
তুষের আগুন তাপ নিয়েছি হিম কুয়াশায় বকসাদা বুক ঘেঁষে
এখন কেবল সবই স্মৃতি, সবই ধূসর, অবসরের করুণ দহন দিন।


ইচ্ছে হলেই আর পারি না, বসতে কাছে, খুলতে বারণ আপন আলয় দোর
হৃদয় ভাঙা মানুষ আমি, বেনামী ফুল পথের ধারে একলা একা ফুটি
সমান এখন দিন এবং রাত, জেলের গরাদ, মুক্ত আকাশ, ভোর
সম্পর্কের নাই মৃত্যু জানি, তবু নিলে অভিমানে ভালোবাসায় ছুটি।


পূর্ণিমা রাত, শুদ্ধ হাওয়া, সিঁথির নদী, হাসনাহেনার সুরভিত দোল
সান্ধ্য ভ্রমণ, শীতের কাঁপন, তন্ময়তার পুলক ঝলক ঘোর শিহরণ
চুলের খোঁপায় রক্তজবা, বেলির মালা, স্মৃতির তিতির কোমল কপোল
স্বপ্নবিহীন ভাটার টানে নেই কিছু আর, ভাঙন এবং কেবল ভাঙন।


যেই নদীটা আমার ছিলো, শীতল জলের পরশ দিতো চঞ্চলা সে খুব
ভাঙছে স্বপ্ন, ভাঙছে আশা, চোখের ভাষা অবোধ্য নয় খানিক বোঝে নিও
এমন তো নয় সারাক্ষণই নিয়ন্ত্রণহীন খেলবো কাছিম ডুব
নদী না দাও, নদীর থেকে আগের মতো তৃষ্ণা মেটার এক ফোঁটা জল দিও।
১০-০২-২০২১