আমি ওম পোহাতাম তোমার বুকের
আহা! কী নরম কোমল ফুলের মতোন বুক।


তুমি আগুন জ্বালাতে ঠোঁটে
আহা! কী শীতল জলের আশ্চর্য আগুন।


সিঁথির নদীতে স্বপ্নে দাঁড় টেনে পোহাত শীতের রাত
সকাল ডাকতো হেমন্তের রৌদ্রস্নানে।


বসন্ত আসার আগেই ডেকে ওঠতো
কাঠের আগুন থেকে ঘন লাল চোখ অনিদ্র কোকিল।


এমন সে মধুরিমা ক্ষণে
খেজুর পাতার নেকাব গলে বেরিয়ে আসা জোছনায়
ভেজা মন কখনও শুকাতে দিইনি চৈত্রের উঠানে।


অথচ কেমন দেখো, যে ঠোঁটে আগুন-
জ্বালাতে, সে ঠোঁটে ঢেলে দিয়েছ বিরাগে
বিরহের হেমলক।


মোহের আগুনে ঝাঁপ দেয়া প্রজাপতির পাখায়
এখন বিবর্ণ রেখা; বিচিত্র জগতের জটিল মানচিত্র
সিঁথির নদীতে তিস্তার চর, অহমিকার রোদ
অসময়ে ডেকে ওঠা কোকিলের ডানা থেকে
খসে গেছে পশমী পালক।


ভেতরে বাহিরে তুমুল দহন  
দুচোখের চৌহদ্দিতে গ্রহণ এবং গ্রহণ কেবল
বুক জুড়ে বসে থাকা অসুখের থেকে বেশি যত্নে
আড়াল করতে হয় নয়ন নদীর জল।
২০-০১-২০২১