মনের ভিতর হাজার ইচ্ছে নাচে লাফায়
ঘুরেফিরে হাসে
ইচ্ছেরা সব ইচ্ছেমতো যখন তখন
লুটায় সবুজ ঘাসে।
একটি ইচ্ছে-যেমন ধরো অনেক বড়
আসলে কাছে তুমি
তৃষ্ণাকাতর মনের ক্ষুধা মিটে যেতো
গোলাপ অধর চুমি।
জল পিয়াসি চাতক পাখি তৃপ্ত হতো
পেয়ে জলের ছটা
বিষাদ সময় কাটতো হেসে জমতো হৃদে
সুখের ঘনঘটা।
হিমেল হাওয়ায় লেপের উমে শিশু যেমন
লুকায় মায়ের বুকে
তেমনি করে সেটে যেতাম তোমার বুকে
উষ্ণতার সে সুখে।
প্রভাত রবির কিরণ বুকে দিবস যেমন
হাসতে শুরু করে
ভাসতো এ বুক কাঁদতো দুচোখ সুখের জলে
তোমায় বুকে ধরে।
তৃষ্ণা লেপা হাতের মাঝে সকাল সাঁঝে
থাকতো যদি হাত
আদর মাখা চাদর গায়ে যেতো কেটে
আঁধার কালো রাত।
ইচ্ছে করে যখন তখন ফুলের মেলায়
আদিম খেলায় মাতি
ইচ্ছে করে বধূ করে আনি ঘরে
বানাই জীবন সাথী।
ইচ্ছে করে ফুলের গায়ে বিমল প্রেমিক
ভ্রমর হয়ে বসি
ইচ্ছে করে পরান ভরে নরম কাদায়
মাংসের লাঙল চষি।
ইচ্ছেগুলো ইচ্ছে করেই কদিন ধরেই
খেলে বুকের ভাঁজে
বামুন আমি চাঁদের পানে প্রাণের টানে
হাত বাড়ান কি সাজে?
অকারণে অনাথ ইচ্ছা গুম হয়ে যায়
তরুণ  লাজুক হাতে
যেমন করে জোছনা হারায় রাতের শেষে
অরুণ আলোর প্রাতে।
২৪-১২-২০১৮