শ্রাবণের আকাশের মতো জলভারানত চোখে
অসীম আঁধার
অথচ চোখের পাপড়িতে শুয়ে আছে অজস্র খুচরো স্বপ্ন।
তোমার অনন্ত অদর্শনে ফুরফুর করে ওড়ে যাচ্ছে
আলোর জোনাকি।
এমন অস্থির সময়ে খেলছো লুকোচুরি খেলা।
মেঘনির্ভার আকাশে উঁকি দেয়া রঙধনুর কসম-
চোখের সমুখে স্থিত হও। নইলে আমিও মিশে যাবো
গোধূলির লালিমায়।
হঠাৎ হাওয়া হয়ে যাবো জোছনার সরোবর।
দিনভর-
মেঘের আড়ালে থেকে ঢালো ধুতুরার বিষ- অহর্নিশ।
অন্ধকারে ভীষণ অতৃপ্তি। উজ্জ্বল আলোতে এসো
মুখোমুখী বসো। তোমাকে দেখি না সম্ভবত একশ বছর।
সময় তো থেমে নেই, বয়স তো বসে নেই। চলছে সমান্তরাল
যেন মগড়ার জল। ফিরবে না আর। পূবাল বাতাসে
মাথা থেকে ওড়ে যাবে কালো চুল। কাশবন চুল দোল খাবে
মস্তকে মস্তকে- তোমার আমার।
বার্ধক্যের কথা ভেবে, ব্যর্থতার কথা ভেবে চোখ-
করে ওঠে জলে ছলছল। কাছে এসো। কাটবো সাঁতার
যৌবন তরঙ্গে। চুপে চুপে হারানোর আগে আমি-
ডুবে যেতে চাই আলতো করে চালতা ফুলের মধুকোটরে।
শ্যাওলা শরীর থেকে সংগ্রহ করে নিতে চাই
সঞ্জীবনী স্পিরুলিনা।
জলভারানত আমার দুচোখে হও শ্যাওলার-
সবুজ সাগর। তবু থাকো হৃদয়ের কাছাকাছি।
০৩-০৭-২০২২