মারী আর মড়কের গোঙানির শব্দে সন্ত্রস্ত সকলে
প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে যখন দীর্ঘ ত্রাণের লাইনে
তখন তড়িৎ তরঙ্গে কুমারী চাঁদের মুখ দেখে
ঠোঁট চাটতে চাটতে বের হয়ে আসে ত্রাণের দেবতা


দেবতার হাতে ত্রাণের প্যাকেট, কুমারী চাঁদের পেটে সুধাহীন ক্ষুধা
ক্ষুধা ও খাদ্যের আকর্ষণে, আলোর সন্ধানে
অস্থির কুমারী চাঁদ
দেবতার জিহবায় লেহনের উন্মাতাল স্বাদ
কাছে আসতে আসতে দ্রাবিড় দেবতা ছুঁয়ে ফেলে চাঁদের শরীর


লোভের উপত্যকার আড়ালে চাঁদের অবাক অদৃশ্যায়ণে
অদ্ভুত আঁধার নেমে আসে ধরাধামে মধ্যযামে


তারপর নিসর্গের গলা চিরে চাঁদের চিৎকার...
ঘোরলাগা ভোরে রক্তাক্ত চাদরে মোড়া চাঁদ
নিষ্প্রভ চোখে অমাবশ্যার অন্ধকার...


শ্বাসরোধী হাওয়ার ফাঁস খুলতে খুলতে
অন্ধকার ঠেলতে ঠেলতে কেমন জানি নিজেও
মিশে গেলাম নিগূঢ় অন্ধকারে- ভুলে গেলাম ত্রাণের দাবী
প্রাণ বাঁচানোর ত্রাণ যখন হয়ে গেলো জোছনা হরণের চাবি!
১৫-০৪-২০২০


(করোনার দুর্যোগে ত্রাণ আনতে গিয়ে শিশু ধর্ষণের খবর পড়ে লিখা)