আমার দুঃখের দিনে, প্রশান্তির প্রয়োজনে
দ্রোহের তেজস্বী শক্তির বারুদ আহরণে
আনন্দময় দিনের উচ্ছ্বল ঢেউয়ে আরোহণেে
আমি কবিতার কাছেই আশ্রয় খুঁজি।
প্রখর রোদ্রের দহনে দাম্ভিক দুপুরের
ঘাম মুছি কবিতার অনিন্দ্য আঁচলে।
ভালোবাসা কিংবা আশা বলতে একান্তে-
সুকান্তে আমি কবিতাকেই বুঝি।


রাত্রির নির্জনতায়, চোখের পাতায়
অনুভব করি কবিতার চুম। উপভোগ করি
স্বস্থির ঘুম - স্বাপ্নিক সুখের নিমগ্নতায়।
আমার প্রেম ও প্রার্থনায়, স্মৃতির সারসের ডানায়
উপলব্ধ হয় কবিতার শব্দ। গানে, স্নানে
হৃদয়ের বিনম্র বাগানে আমি কবিতাকে খুঁজি।


কবিতার কাছে যাই অবিরত; হৃদয়ে রক্তজবার
মতো অবিনয়ী ক্ষত সারাতে রাতে ও দিনে
আমি কবিতার কাছে যাই। আমার বেঁচে থাকার
সঞ্জিবনী শক্তি আমি কবিতার কাছে পাই।
যাদের বিনষ্ট হাত, পূর্ণিমা রাতের আলো কেড়ে নেয়
অদ্ভুত আঁধারে ঢেকে দেয় দৃষ্টির সীমানা
তাদের জন্যও কবিতা আমার হিরন্ময় হাতিয়ার
কিংবা সাড়াশি শব্দের শার্দূল হুংকার; ঘৃণার অগ্নিবীণা।


কবিতার কাছে জমেছে আমার হাজার ঋণ
কেননা কবিতা ঠকায়নি কাউকে; বিশ্বাস-
আমাকেও ঠকাবে না কোনোদিন। আমি-
হতে চাই কবিতার একনিষ্ঠ সেবক; আকণ্ঠ
উচ্চারণের উদ্ভিন্ন নিয়ামক।
অনর্থক আঙুল উঁচিয়ে আমাকে দেখিও না ভয়
সমরে শান্তিতে যার কন্ঠে কঠিনে কোমলে-
জলে ও অনলে, কবিতাই উচ্চারিত হয়।
জয়, কবিতা ও কবির কণক কলমের জয়!
০১-০৪-২০২১