(সহমর্মিতার সংবেদন)


আম্বিয়া-জন্মই যার আজন্মকালের পাপ
অর্ধেক শরীর নিয়ে পৃথিবীতে আগমন, বিচরণ-
খেলার এবং চলার বেলায়; হাত দুটিই তার পা;
টার্মিনাল ট্রান্সভার্স লিম্বস ডিফিসিয়েন্সি তার জন্মগত
ফলে, জীবনের প্রতিপলে জমেছে যন্ত্রণা অবিরত।


মুক্ত পাখির মতো সে উড়তে পারেনি; ছুটতে পারেনি-
হরিণের মতো। কতশত বেদনার ক্ষত তার বুকে
চোখের সাটার খুলে ব্যথার নির্যাস বের হয় বারেবারে
কষ্টের করুণ ঢেউ ভাঙার গর্জন তার পাঁজরের হাঁড়ে।


সুখের স্বপ্ন তারও বুকে বাসা বাঁধে; দিন যায়
পিঞ্জরাবদ্ধ পাখির মতো মুক্তির আজন্ত আকাঙ্ক্ষায়;
তার গায়ে আরসব স্বাভাবিক মেয়েদের মতো দখিনা বাতাসে
হেসে হেসে যৌবন-তরঙ্গ দোল খায়।


বিশেষ চাহিদা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুর নাম ডাকা হয়
চাহিদার রকমফেরে অদ্ভুত বিশেষণে।
আম্বিয়া ছিলো না তার বিন্দুমাত্র ব্যতিক্রম;
সে যেন কেউই নয় এই সমাজের; সকলের অবহেলা-
তার কাছে জীবন মানেই এক দুঃখ দুঃখ খেলা!


অদম্য আম্বিয়া মনের ভেতরে গড়ে এক স্বতন্ত্র পৃথিবী
তার এই অক্ষমতা মোটেই করেনি তাকে দ্বিধাগ্রস্ত।
বাধার পাহাড় ডিঙানোর মানসিক দৃঢ়তার কাছে
অবশেষে তার এ প্রতিবন্ধিতা হয়েছে পরাস্ত।


আলোকিত আম্বিয়ার প্রতিবন্ধিতার বরে
সরকারি চাকুরে এখন
অসহ্য আগুনে তপ্ত বালির ভেতরে ফুটে ফুটে খইফুল।
ঝড়ের দাপটে ঋজু হতে হতে সোজা হওয়া বৃক্ষের পুষ্পরাগ
তার হাত জড়ো করে উপেক্ষার বদলে এখন অজস্র সোহাগ।
১৯-০৮-২০২২