তোমার খোঁপা ছুঁলেই ঝুরঝুর করে
নেমে আসে তেরোশত নদী, হৃদসরোবরে ঝরে
কাকচোখ জল প্রবাহের সুখ নিরবধি।
আমি হই বাইচের মাঝি,
সপ্তডিঙা সওদাগর রূপকথার দেশে।
হীরক দ্যুতির পিঠে ঝুলে থাকে ভোরের অরুণ
তরুণ ইচ্ছারা দারুণ আবেগে সাঁতরায়
টর্পেডো গতিতে, ছুঁয়ে দিতে মহুয়াগন্ধী শরীর।
হৃদয়প্রদেশ থেকে দূর হয়
আরতেমিশিয়া নৌবহর ভয়।
দুচোখের মনিটর ঝলসে দেয় আলোকভেদ্য
মেরি আঁতোয়ানের লাবণ্য,
সিনোমেত্তা ভেসপুচ্চি স্বর্ণকেশ।
গণেশ্বরীর পাথুরে প্রবাহের পাড় ধরে
হাঁটাহাটি করি সবুজ ঘাসের শীতলপাটির
মায়াবী মশৃণতায়।
মনোহর মরালি গ্রীবায় লেগে থাকা
মাধবী সুবাস, কিংশুক কপোলে মিশে থাকা
রঙের প্রপাত ভরে রাখি বুকের বৈয়ামে।
তোমার শিরিণকণ্ঠী গান
মোহন শোভন গোধূলি পরান ডাকে বারবার
প্রহেলিকাময় নেফারতিতি কিংবা
তামারার আবেশ আমাকে দেয়
খেজুরছড়ি খোঁপা খোলার নিরংকুশ অধিকার।
১৭-০১-২০২১