ছেলেটি রোজ হাঁটতো ফুটপাত ধরে
যেমন হাঁটেন উদাস পথিক
মাঝে মাঝে বসে থাকতো পোড়খাওয়া
পার্কের বঞ্চিত বেঞ্চে।
যান এবং জনের, পথের এবং পাখিদের
কোলাহল আর
পাতার ফাঁক গলে আসা আলোর
বিচ্ছুরণ দেখতে দেখতে
ছেলেটির চোখে নামতো সন্ধ্যার অন্ধকার।


অস্ত যাওয়ার আগেই সমস্ত
আবেগ এবং আকুতি জানিয়ে ছেলেটি সূর্যের
নিকট হতে চেয়ে নিতো একটি লাল টিপ
রাত ঘন হলে গড়তো রূপালি তারার নূপুর
বাতাসের কাছ থেকে ধার নিতো
দুধসাদা বেলি, যুথিকা অথবা গাজরার মালা।


রিমঝিম বর্ষায় হুডতোলা রিকশায় বসে ছেলেটি
মেয়েটিকে দিতো তার
বুকপকেটে জমিয়ে রাখা ভালোবাসার নৈবেদ্য;
হাতে তুলে নিতো মেয়েটির হাত
ছেলেটির শরীরে ও শিরায় অদ্ভুত বয়ে যেতো
মদিরা প্রপাত।


এমনি দুজন চলতে চলতে একদিন
ছেলেটি কবি হলো; মেয়েটি হলো কবুতর।
মেয়েটির পাখা হলো; উড়ে গেলো
ফিরেনি কখনো আর
কবিতার সাথেই ছেলেটির এখন ঘরসংসার।
১০-০২-২০২১