সম্মানীয় কবিবৃন্দ, এটিই আমার মজাক্ষরা সিরিজের আপাতত শেষ পোস্ট। "চেতনার চিলেকোঠা" শিরোনামে মজাক্ষরাগুলো গ্রন্থাবদ্ধ করার মতো প্রয়োজনীয় ফর্মা সম্পন্ন হয়েছে। শিঘ্রই প্রকাশনায় যাবে ইনশাআল্লাহ। যারা আমাকে নিরন্তর প্রেরণা দিয়েছেন এবং মজাক্ষরা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজে মজাক্ষরা ফরমেটে কবিতা রচনা করেছেন মজাক্ষরার পথিকৃত কবি হিসেবে তাদের নাম আমার গ্রন্থে সসম্মানে গেঁথে রাখবো কৃতজ্ঞতার স্মারক হিসেবে। এ পর্যন্ত যারা মজাক্ষরা লিখে আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন বলে আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে তারা হলেন সর্ব কবি- পারমিতা ব্যানার্জি, বোরহানুল ইসলাম লিটন, ডা. প্রদীপ কুমার রায়, জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী, রক্তিম দিগন্ত। এর বাইরে আরো কেউ মজাক্ষরা কাঠামোতো কবিতা লিখে থাকলে অনুগ্রহপূর্বক কবির নাম, জেলা, প্রদেশ, ও দেশ উল্লেখ করে আমার পাতায় প্রকাশিত যে কোন একটি মজাক্ষরায় মন্তব্যে জমা দিন।
ধন্যবাদ।


অভাবের রমণীয় চুম্বন
৪০


শুয়ে আছে
সকালের
সোনারোদ
পোয়াতি মাঠের পাশে
হেমন্তের
ফসলের
প্রসবের
আশায় কৃষাণী হাসে।


বুকে তার
বড় সাধ
নাকে তার
শিশিরের মিঠা ঘ্রাণ
ক্ষণ পরে
আসে ঘরে
ঝনঝন
অগ্রানের পাকা ধান।


নবান্নের
উৎসবের
আমেজের
সাড়া পড়ে সারা গাঁয়ে
ফসলের
সুধা মেখে
স্বপ্নরাও
কাছে আসে চুপি পায়ে।


সহজাত
স্বভাবের
চোর যারা
ইঁদুরেরা মিলে সব
করে চুরি
কৃষকের
স্বপ্ন-সাধ-
হর্ষ, হেমন্ত উৎসব!


হতাশার
অন্ধকার
ঢেকে দেয়
দুই চোখে নামে রাত
জোছনার
সাদা আলো
পান করে
ভুলে যায় অবসাদ।


নবতর
ভোর আসে
ঘন ঘাসে
রোদের ঝিলিক লাল
কৃষকের
স্বপ্নগুলো
মরে যায়
এখানে অনন্তকাল!


জীবনের
বাঁকে বাঁকে
পড়ে থাকে
বিষাদিত অনাহ্লাদ
অভাবের
রমণীয়
চুম্বনেরা
জড়ো করে অনাস্বাদ!
০৮-১০-২০২০