আমার এখন বড় দুঃসময় মৌমিতা।
এই কঠিন দুঃসময়ে তুমি মিথ্যে
অহংকার নিয়ে পড়ে আছো অভিমানের
নিরুত্তাপ বরফের নিচে। বার বার চেয়েছি
তোমার অভিমানের বরফ গলাতে কামনার জলে।
এতটুকুও গলাতে পারিনি অভিমানের জমাট বরফ।
অথচ পাথরও গলে যায় জলের সঞ্চালনে।


অনন্ত বিরহ বুকে নিয়ে আমার কত রাত্রি
পার হয় মিলনের প্রত‌্যাশায়।
বিরহের অথই আঁধার কখনও কাটে না,
অন্ধকারেই জীবন কেটে যায় সহস্র বছর।


খুব বেশি কিছু তো চাইনি তোমার কাছে,
ভালোবেসে তোমার হৃদয়ের বেলকনিতে
বাঁধতে চেয়েছি ভালোবাসার ঘর। যেমন করে
বাবুই পাখি ঘর বাঁধে তালপাতার ডগায়
পরম নির্ভরতায়।


কৃষ্ণপক্ষ রাত্রির ঘোরে বাঁধা যে জীবন
সে জীবনে চিরকাল অধরাই থেকে যায়
কিশোরী চাঁদের জোছনার যৌবন।


অবিশ্বাসের ভূত বড়ই অদ্ভুত!
একই ছাদের নিচে থেকেও পড়ে রইলাম
দুজনে যোজন যোজন দূরত্বে।
মাটির শরীর মাটির কাছেই পড়ে রয়
জলের কাছে যাওয়া হয় না। দিনের পর দিন
ক্রমশই বেড়ে চলে দুজনার মনের দূরত্ব।
৯-৮-২০১৭