শেরেবাংলা নগরে আমাদের শীতের সন্ধ্যাগুলো
ঝুরঝুর শব্দ করে নেমে আসতো নাগলিঙ্গমের-
ফণাতোলা পাপড়ির রঙিন খোলসে। তুমি গেয়ে ওঠতে হরষে-
"এমন মধুর সন্ধ্যায় একা একা কি থাকা যায়..."


আমাদের সুখগুলো বুকের পাঁজর খুলে বেরিয়ে পড়তো,
হেঁটে হেঁটে পার হতো চন্দ্রিমা উদ্যান, লুটোপুটি খেতো
ক্রিসেন্ট লেকের সিঁড়ি ও সড়কে। সমবেত আগুন্তুক-
বিস্ময়ে দেখতো ফুয়ারাগুলোতে জলের বদলে সুখের স্ফুরণ।


বোতলব্রাশের বিনীত অভিবাদনে হেসে উঠতো হরিদাভ বিকেল
আনন্দের রেশ কাটার আগেই রক্তিম সূর্যটা গণভবনের
হাই প্রোফাইল নিরাপত্তা ভেদ করে চলে যেতো অস্তপাটে
সমস্ত আবেগ জড়ো হতো চোখের পাতায়।


মায়া জমে জমে ভালোবাসার শহর হতো বুকের উঠান
পানকৌড়ির পালকে উড়ে যেতো পুরাতন অভিমান
আবেগের নদী এসে ছড়াতো শরীর জুড়ে ছাতিমের ঘ্রাণ।


সেইসব স্মৃতির সারস আজ ঝাঁকে ঝাঁকে নেমে আসে
ভাবনার বিলে। খুঁটে খুঁটে খায় বিচঞ্চল দিন
ক্ষয়িত সময় অক্ষরবিহীন বিলবোর্ডে
চোখের সামনে সেঁটে দেয় মনখারাপের বিজ্ঞাপন বর্ণহীন।
২৮-০৬-২০২২