আকাশ এখন ড্রোনের দখলে; শব্দাতীত -
গতিতে উড়ছে মিসাইল। ভূমিতে ভয়াল ট্যাংক ও মাইন
সাগরে টর্পেডো, প্রতিরোধ গড়ে পাথর ছুঁড়ে শঙ্কিত প্যালেস্টাইন।
ইউক্রেনে আগুন, তাইওয়ানে স্বাধীনতা হারানোর ভয়;
যুদ্ধ কারো অস্ত্রের বেসাতি; যুদ্ধ কারো আধিপত্যের অহম
আর আমাদের যুদ্ধ শুধুই বাঁচার, এর বেশি কিছু নয়।


যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে তুমি এসো কোনো এক কদম ফোটার দিনে।
কলাপাতায় মাথা ঢেকে ঝুম বৃষ্টিতে জড়িয়ে দাঁড়াবো দুজন।
সুজন কে আর আছে আমার এই শহরে তুমি ছাড়া?
খাওয়ার - চাওয়ার আছে অনেকেই। আমার অনন্ত-
বেদনার বরিষণে ভেজার কেউ নেই তুমি ছাড়া।
অথবা অথই অন্ধকারে কেউ নেই পথ দেখাবার সন্ধ্যাতারা।


ধরো, কোনো এক সন্ধ্যায় কাকের মতো গাঢ়
অন্ধকারে বসে আছি চুপচাপ। কোনো কথা নেই; সাড়া নেই।
পাথরের মতো জড় আমি। তুমি এলে অসীম আহ্লাদে
অথচ ভ্রুক্ষেপ নেই কোনো। এইসব পাগলামি খাপছাড়া,
এইসব অবহেলা, বেলা অবেলা সহ্য করার; আমার অখণ্ড-
ব্যথাহত নিরবতা দেখার কে আছে আর পৃথিবীতে তুমি ছাড়া?


এবারের শ্রাবণ তো নিভৃতে চলেই গেলো বৃষ্টিহীন।
খরা আর খরা, তৃষ্ণা আর তৃষ্ণা, সাহারা চোখে ও বুকে।
মনখারাপের জড়তা ধোয়ার সময় পেলাম কই?
কনক্রিটের খাঁচায় ভরে থাকা আকাশের কোণ থেকে
মাঝেমাঝে উড়ায়েছ বাতাসে প্রগাঢ়
কস্তুরিঘ্রাণ চুম্বন।
কম্পিত কবুতর বুকের প্রহ্লাদী ওম পেলাম কই?


জীবনের অলিতে গলিতে ব্যথার বরফ জমে আছে
পাহাড়ের মতো দৃঢ়। সরাতে সক্ষম তোমার হাতের
মতো আর দুটো উষ্ণ হাত কই- ছুঁয়ে দিলে গলে যাবে
ব্যথার বরফ?  আছে তো অনেক হাত। তুমি ছাড়া এই বুকে
কার আছে বলো একান্তে ছোঁয়ার অধিকার; কার বসবাস?
এসো কিন্তু। মনখারাপের ধুলোবালি ধুয়ে, হবো নীলাকাশ।
২২-০৮-২০২২