জীবনের শেষ কোথায় জানি না। তবে জানি-
শেষ হবে একদিন। ঘুমাবো মাটির ঘরে শুনশান-
নির্জনতা ঘিরে রবে চারিদিক। দুরন্ত পা পড়বে না
আর জীবনের পথে। এ কথা জানার পরেও অজানা-
ঠিকানার কথা ভুলে; এক উষষী মুখের ছবি আঁকি চোখে;
কিংশুক কপোল ছুঁয়ে কেঁপে ওঠি ইচ্ছার আবেগে।
সাগরের ঢেউয়ের মতো নাচি। প্রজাপতির রঙিন-
ডানা মেলে ওড়ি। গায়ে মাখি হলুদ সরিষার পরাগ।


শিরায় শিরায় রক্তের অস্থিরতায় মনোবীণার চিকন-
তারে লাগে টান আর আনন্দ ঝংকার নিরাশার-
অন্ধকার- দলছুট মেঘের ডানায় চড়ে দূরে চলে যায়।
টোপাজ চোখের ইশারায় জ্বলে ওঠে লাল-নীল আলো
রঙের ফোয়ারা ছুটে চোখের নদীতে। আকাশের-
থালা হতে ঝুরঝুর ঝরে অজস্র জোছনা। আকাঙ্ক্ষার-
উন্মন হাঁসেরা জড়ো হয় ভোরে মনসরোবরে।


মাঘের শীতের রুক্ষতায় ঝরা বিবর্ণ পাতা পায়ের তলায়
মানুষের মতো কথা কয়। পাপড়ির মতো মনে হয়-
শিশিরে চুবানো ঘাস। সন্ধ্যার ধূপের গন্ধে তার-
ভেসে আসে চুলের সুবাস রাত্রির নিকষ অন্ধকার।
তাকে দেখে মোহন মৃত্যুকে পাশে রেখে তার-
আঁচলেই মুখ ঢাকি-যেন পৃথিবীর সমুদয় সুখ
এক সরল শিশুর করপুটে।
অতঃপর, মৃত্যু ভুলে-শেষ গন্তব্যের কথা ভুলে,
দুরন্ত আবেগে মৃত্যুর দিকেই যাই ছুটে।
০২-০১-২০২১