ভেজা অলক চোখের পলক পড়তে দেয় না তার
ব্যথার জমাট পাহাড় গলে টপটপিয়ে ঝরে
বিস্ময়ে চোখ তাকিয়ে দেখে সুখদ ঝর্ণাধার
ঘাসের ডগায় শীতল শিশির থাকে যেমন করে।


অরুণ বিভায় তরুণ হাসির পলাশ রাঙা ঠোঁটে
দোল দিয়ে যায় অন্তসলিল শিহরণের ঢেউ
মনবাগানে ইন্দ্রনীলের সুগন্ধি ফুল ফোটে
হঠাৎ নেমে আসে যেন স্বর্গপরী কেউ!


প্রজাপতির রঙিন পাখায় আঁকা হীরক দ্যুতি
মুনিয়া সুখ হৃদপেয়ালা ভরে সকাল-সন্ধ্যা
দূর হয়ে যায় দুঃখভেজা সকল অনুভূতি
বুকের উঠোন রোদ্দুরে রয় ভরে পুষ্পগন্ধা!


দূরে থেকেও সুরের ধারায় থাকে মনের কাছে
সুধা ঢেলে ক্ষুধা মেটায় মেঘবালিকা সাজে
মনের চালে ঝমঝমিয়ে শিখি ছন্দে নাচে
অরুন্ধুতি নামটি আমার পরানতলে বাজে!
১৩-১২-২০২০