আমি তখনও ঘুমে। স্বপ্ন দেখছি। একটি
সবুজ উদ্যান। অসংখ্য মানুষ। লাল নীল
আলো। চোখ ধাঁধালো।  আকাশের সিঁড়ি
বেয়ে নেমে এলো অসংখ্য পরি। তার মধ্যে
ভিন্ন একটি মুখ। খুব চেনা। খুব আপন।


ছোঁয়ার  চেষ্টা। ছুঁতে পারছি না। হঠাৎ হাতের
ছোঁয়া। আঙুলে আঙুলে মিষ্টি একটা পরশ!
হিমেল সন্ধ্যার মতো মিষ্টি! প্রচণ্ড তেষ্টায়
জলে বরফকুচি মেশানো সরবতের মতো মিষ্টি! চাঁদের আলোয় বুক খুলে সুবাস ছড়ানো
হাসনাহেনার মতো কমনীয় মিষ্টি!

আলোআঁধারির মাঝে ঠোঁটের খুব কাছে ঠোঁট।
অজানা আতংক! আচম্বিতে সরে যাওয়া!
অদ্ভুত শিহরন! অপ্রত্যাশিত সুখানুভূতি! আহ জীবন! অনাস্বাদিত জীবন কতনা মধুময়!


বেজে ওঠে বেহাগের সুর। দূর বহুদূর!
কষ্ট একটাই। এই সুখের নাই কোন ঠিকানা।
নাই কোনো পরিচয়!


বুকে চিনচিন ব্যথা। ঘুম ভেঙে যায়।
উধাও আকাশ! উধাও উদ্যান, পুষ্পিত নন্দন কানন!
কোথাও কেউ নেই! চারপাশে শূন্যতার হাহাকার! বিলোল মন নিস্তব্ধ পড়ে থাকে
শরবিদ্ধ পাখির রক্তাভ পালকের মতন!


না সুখ না শূন্যতা। স্বপ্ন, সুখ এবং দুঃখের সেতুবন্ধন!
১৭-১২-২০১৯