গ্রীষ্মের গভীর রজনী ঘামঝরা কাঁঠাল গরম
মাথার ওপর বিজলি পাখা অবিরাম ঘুরছে
বুকের ভেতর ঘুরছে যন্ত্রণার আবদ্ধ বাতাস
হৃদয়ের দেয়ালে দেয়ালে খামছে ধরা কষ্টগুলো
টুপটাপ পড়ছে ঝরে বৈশাখী বৃষ্টির ফোঁটায়
বিশুষ্ক মনের আঙ্গিনায়।


বেদনার নীল খাম খুলে সন্তর্পণে উঁকি দেয় স্মৃতি
নির্মম নিয়তি করে উপহাস নির্ঘুম চোখের তারায় নিবিড়
পড়ে থাকে সেই চোখ যে চোখে দেখেছি এতদিন
আমার গোপন সুখ।


চোখ হতে আলগোছে ঝরে পড়ে তপ্ত অশ্রু
শ্রাবণের প্রখর ধারায় বুকের বাঁপাশে সৃষ্ট
চিনচিন ব্যথা অনায়াস কাটে সাঁতার রক্তের নালায়।


সবুজ বসন্ত পার হয়ে বৈশাখে এসেও শূন্য শাখে
শুনতে পাই শুকনো পাতার মর্মর
মনের আকাশে ঝাপটায় ডানা স্বপ্নের সোনালি পাখি
মৃত ডালে বাসা বাঁধতে বড্ড ভয় তার
বৃথা চেষ্টা বেদনার ক্ষতে সান্ত্বনার প্রলেপ মাখার।


বাতাসের তোড়ে ওড়ে যায় ভালোবাসার রঙিন বেলুন
বিভাবের পাতা থেকে কর্পুরের মতো ওড়ে যায়
মাতাল মধুর শব্দ কালো মেঘে ঢেকে যায়
মনের বিস্তৃত আকাশ।


প্রেমহীন জড়তার আড়ষ্ট আতঙ্ক ঘুরে ঘুরে ঠাঁই নেয়
অন্তরের অন্তপুরে
অবিশ্বাসের অবগুণ্ঠিত হাত ছুঁতে পারে না সুনন্দিতার
মনোরম মনের আকাশ, যেখানে কল্পনায় বার বার গড়ি
সমস্ত সুখের ঘরবাড়ি।


সুনন্দিতা, আমার স্বপ্নের সারথি, কত উঁচুতে তোমার বসবাস;
সেখানে কি একবারও হয় না রাত; বেদনায় একবারও কি
হয় না নীল তোমার মনের আকাশ;
পোড়াবার বাকি রয়েছে কি আরো?


আমি তো গুটিয়ে নিয়েছি নিজেকে ডালাবদ্ধ কফিনের
খোড়লে মৃত্যুর উপত্যকায়
বাস্তবে না এসে কল্পনায় কেন কফিনের কড়া নাড়ো?
বাস্তবে না এসে কল্পনায় কেন কফিনের কড়া নাড়ো?


যদি জাগাতে না পারো, সুখ যদি দিতে না পারো
অযথা নেড়ো না কফিনের কড়া
অমল মৃত্যুর হাতে আমি দিতে চাই ধরা।
অমল মৃত্যুর হাতে আমি দিতে চাই ধরা...
১৭-৪-২০১৯