শিমুল পলাশ জবার পাপড়িতে
লেগে আছে ভাষাশহিদের রক্ত।
ফাল্গুনের চোখ থেকে ফোঁটায়
ফোঁটায় ঝরছে রক্তাক্ত বর্ণমালা।
দক্ষিণা বাতাসের শূন্য গর্ভে
ভাসছে মৃত্যুর তুমুল আর্তনাদ।
শহিদমিনারের ইট ফুঁড়ে ওঠে
আসছে শবদেহ; ভাষা বিকৃতির
মৌন প্রতিবাদে। অথচ কী নির্বকার চেয়ে
চেয়ে দেখছি নির্বোধ পশুদের মতো!
প্রেয়সীর কোমল উরুতে মুখ ঘষে
মুছছি বুলেটের দগদগে ক্ষত।
যন্ত্রণার কাতরতা ভুলিয়ে দিয়েছে
ভ্যালেন্টাইন চুম্বন।
‘দুনিয়াকা মজা লেলো’ জাতীয় গানের
দুর্বিপাকে থেমে গেছে একুশের গান
স্বাধীনতার কবিতা, ‘জয় বাংলা’।
ভাষার শরীর থেকে স্নিগ্ধতার পালক
খুলে নিয়ে ছুটে পালাচ্ছে নির্দয়
ভাষা লুটেরার দল। এসব দেখেও
নিস্তেজ ধমনিতে থেমে গেছে
রক্তের গর্জন। ক্রমশ মিশে যাচ্ছি
উলঙ্গ সংস্কৃতির স্রোতে;
একুশের প্রথম প্রহরে শহিদ বেদীতে
রেখে যাওয়া ফুলগুলো
বিকেল না গড়াতেই যেমন মিশে যায়
ভাগাড়ের আবর্জনায়।
১৪-২-২০১৯