বিস্নিগ্ধ আবেশে ফাগুন এসে উঁকি দিয়েছে
আমার মনের জানালায়
কার আছে এমন ক্ষমতা ফাগুনের
আগুন এড়িয়ে যায়!
ফাগুনের আগুনে পুড়ে মন, তবুও তাকে
আলিঙ্গন না করে কি থাকা যায়?


পাখিদের গান, নদী ও ঝর্ণার কলতান
বিচত্রি ফুলের মোহময় শয্যা
পলাশ শিমুল কৃষ্ণচূড়ার মদির আহবান
ডেকে নিয়ে যায়
উদাস দুপুর, শান্ত বিকেলের গোধূলি পাড়ায়।


উজ্জ্বল আলোর চাঁদ
হলুদ জোছনায় গোসল করা রাতের নির্জনতায়
এ মন মধুর ক্ষণ উদযাপনে ব্যাকুল হয়ে ওঠে
একান্ত তোমার ভাবনায়।
আমি ঊড়ি, আমি ঘুরি ভ্রমরের মতো
ফুলে ফুলে
সবুজ ধানের পাতার মতো বাতাসে
দুলে ওঠি আনন্দ বিহ্বলতায়।


এই পুষ্পিত মুহূর্তে ভ্রমরের সুর শুনি
হৃদয়ের বেহালায়
তুমি নেই কাছে, তুমি নেই কাছে
অনঙ্গ মনের অসীম আকুলতায়
বিহঙ্গ সময় কতই না দ্রুত বয়ে যায়!


যদি দেখে থাকো
যদি অনুভব করে থাকো
আমার তৃষিত আত্মার ক্রন্দন, চারুচন্দন-
এই ফাগুনের রোমাঞ্চকর সময়ে
একবার এসে বলো “ভালোবাসি”
অনন্ত ক্ষমায়।
২৮-০২-২০২১