তোমরা কি দেখেছ কভু
সংগ্রামী কৃষকের নিষ্ঠুর পরাজয়
অপরের মুখে আহার জোগাতে
যারা জীবন করেছে ক্ষয়।
ক্ষয়ে ক্ষয়ে কংকাল কৃষকের
সয়ে গেছে দুঃখ ও অনুতাপ
নিরবে নিভৃতে বয়ে বেড়ায়
তারা দারিদ্রের অভিশাপ।
শত বছরেও নিরীহ কৃষক
পেল না তার ন্যায্য অধিকার
বর্গী মহাজন কৃষকের গোলায়
হানা দেয় বার বার।
জন্মই তোমার আজন্ম পাপ
জন্মেছ কেন দরিদ্র হয়ে,
যক্ষের ধন লুকায়ে তোমা হতে
রক্তচক্ষু শোষকের ভয়ে।
শোষিতের পিঠে চাবুরে ক্ষত
পেটে রাক্ষুসে ক্ষুধা
সততার মাঝে পায় খুঁজে সে
শান্তির অমীয় সুধা।
অধিকার আদায়ে করে না সে
কখনও সংগ্রামী প্রতিবাদ
দারিদ্র্ তাকে করেছে মহান
দারিদ্রকে জানায় ধন্যবাদ।
নজরুল বলেছে দারিদ্র দিয়েছে
তাকে খ্রিস্টের সম্মান
দরিদ্র তাই লুকিয়ে চলে
ধনীরে মানে ভগবান।
সরকার আসে সরকার যায়
ধনী হয় আরো ধনী
হালের বলদ বেচে ক্ষুধা মিটায়
দরিদ্র কৃষক গণি।
জোয়াল কাঁধে লাঙল টানে
সারে বলদের কাজ
টানে সজোরে ঠেকিয়ে পাঁজরে
ভুখা পেটে পড়ে ভাঁজ।
আশায় বুক বেধে ভাসায় ভেলা
সংসার সাগরে দেয় ঝাপ
ফসলের গোলা আবার শূন্য
মুক্ত হয় না দারিদ্রের অভিশাপ।