তিনটি নারী পাশাপাশি সারি রাস্তায় হাঁটে
পিছে পিছে আসি মিটি মিটি হাসি
গ্রাম্য বালা মাজিতেছে থালা
শান বাঁধানো পুকুর ঘাটে।
নিতম্বের দোলা মৃদু ঢেউ তোলা
ছন্দের তালে উঠানামা করে
হাসে খিল খিল চেহারায় মিল
এলোমেলো চুল মুক্ত বাতাসে ঊড়ে।
বাড়ে বায়ুবেগ শ্রাণের মেঘ
হঠাৎ নামিল তাপিত ধরায়
সিক্ত বসন হালের ফ্যাসন
টিসু পেপারের মতো শরীরে জড়ায়।
বৃষ্টিতে ভিজে হয়ে গেল কিযে
বলিবার ভাষা নাহি খুঁজে পাই
যৌবনের রেখা যায় ভালো দেখা
কী যে অপরূপ তার তুলনা নাই।
শ্রাবণের বারী ভিজা তিন নারী
অঙ্গের ভাজে যেন কবিতার চরণ
এলো মহাকাশ ফাড়ি রূপসী পরী
মাটির পৃথিবীতে করিতে বিচরন।
চোখে লাগে তাক সরেনাতো বাক
ভাবি যে শিল্পী গড়েছে এমন মূরতি
নিপূন কারিগর নিজে কত মনোহর
স্রষ্টা তোমার করি আরাধনা আরতি।
শ্রাবণের বারী যুবতি তিনটি নারী
হেসে খেলে উপভোগে বৃষ্টি বিলাস
আমি চেয়ে থাকি মেলে দুটি আঁখি
আমারও জাগে সাধ জাগে অভিলাষ।
মনে পড়ে কত ছিল স্বপ্নের মতো
উচ্ছল তারুণ্যে ভরা ছেলে বেলা
এমনি করিয়া বৃষ্টিতে ভিজে কত যে
করিয়াছি বৃষ্টিস্নান কাঁদাজলে খেলা।