ভাদ্রের দুপুর রোদের খরতাপে
পুড়তে থাকা বিষন্ন প্রহর
বুকের মাঝে রক্তে মিশে বয়ে চলে
সীমাহীন কষ্টের নহর।
তুমি আমি হয়ে গেছি দুই তীর
মাঝখানে অথই নদী বয়ে চলে
আশাগুলো আজ ভাষাহীন স্রোত
ভেসে যায় নদীর জলে।
আমার তীরে কিছু নেই আজ
চলে নিষ্ঠুর ভাঙ্গন খেলা
তোমার তীরে ফসলে ভরপুর
সেথায় বসে পাখির মেলা।
এ পারে আমি ক্রন্দনরত মুসাফির
মাঝখানে গতিময় স্রোত ধারা
ও পারে তুমি খেলায়রত গাঙচিল
ঊড় মুক্ত বাঁধন হারা।
আমার এ পারে বৃষ্টি হলে
তোমার ওপারে পড়ে রোদ
আমারে এপারে ভাঙ্গন ধরে
যখন বাড়ে তোমার অভিমানী ক্রোধ।
আমার হৃদয় ভেঙ্গে খালি
তোমার হৃদয়ে জমে পলি
তরঙ্গ আমাকে আঘাতে সজোরে
জমে দুঃখের চোরাবালি।
আমার তীরে ঘরবাড়ি বিলীন
তোমার তীরে ফুটে কাশ
আমার বুকে জলের আঘাত
তোমার সুখ বার মাস।
আমি ভাবি তুমি সুখে আছ
তুমি ভাব আমি আছি সুখে
আমার বুক খালি করে বালি জমে
চর পড়ে তোমার বুকে।
দূর থেকে দেখি অভিমানী দুজনে
বইছি সমান্তরাল পাশাপাশি
ব‌্যকুল হৃদয় তবুও ভয় যেতে
দুজন দুজনার কাছাকাছি।
তুমি এখন অনেক দূরে অধরা সুখ
যায় না তোমাকে ছোঁয়া
ছোঁয়ার আশায় জোয়ারে মিশে
তাই আমার অবিরত ছুটে যাওয়া।


৫-৯-২০১৬