সুদর্শন কার্তিকের হাত ধরে সলাজ হেসে
ধানশালিকের হলুদ পায়ে চুপি চুপি হেটে
উঠানে এসে হাজির লাজুক হেমন্ত;
পথ ঘাট মাঠে ধ্বনিত মাটির বুক ফুঁড়ে উদগত
অংকুরের দুরন্ত কলরবে মাতোয়ারা প্রকৃতি।


দু’চোখ জুড়ে দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের ক্ষেত
বাতাসে দোল খায় সোনালী ধানের শীষ;
কৃষাণ কৃষাণীর চোখে চকচক করে স্বপ্ন
মুখে ফুটে তৃপ্তির হাসি; শূন‌্য গোলা
আবার ভরে যাবে শ্রমে আর ঘামের ফসলে।


নবান্নের ঘ্রাণ ডেকে আনে বালিহাঁস
ঝাক বেঁধে ঊড়ে আসে নীল পাথারের ওপার থেকে;
পরিযায়ীর সঙ্গী পানকৌড়ি ডুব দেয় জলে;
ঢেকির শব্দে নতুন ধানের চিড়া কুটে পল্লী বধূ
মুখরিত পল্লী মাতে আনন্দ কোলাহলে।


সবুজ ঘাসের ডগায় সূর্য হাসে
ফুলের কানে ঝুলে শিশিরের দোল;
মিষ্টি রোদের আদরে আপ্লুত মন
জলের চাদর সরিয়ে জাগে নদীর দুই কুল।


অঘ্রাণের মাঠে হলুদ সরিষা ফুল
মৌমাছির আলিঙ্গনে কাঁপে;
শর্বরী শরীরে আসে জোছনার প্লাবন;
মায়া লাগানো উত্তরের হাওয়ায়
হিম হিম ভাব; কুয়াশার হাল্কা চাদরে ঢেকে
কলাই আর মটরশুঁটির সবুজ বিছানাতে
প্রকৃতি নিজেকে দেয় হেমন্তের কাছে সঁপে।


১৯-১০-২০১৬