দেখে রূপ তার মনের দুয়ার
খুলে ডানা মেলি আকাশে
স্বপ্নে বিভোর রূপে ভরপুর
পরীর মুখটা চোখে ভাসে।


আচ্ছা পরী- জিজ্ঞাসা করি
জীবনে ভালোবেসেছ কাউকে?
তড়িৎ জবাব চঞ্চল স্বভাব
হ্যাঁ, মা বাবা আর প্রকৃতিকে।


বলিলাম, আর? কী দরকার?
এই একা আছি বেশ ভালো
এসব কেন শুধায়েছ মোরে
আগে আমাকে বলো।


খানিক হেসে হালকা কেশে
বলিলাম, না এমনেই
কথা ঘুরাই চলো ফিরে যাই
সময় আর বেশি নেই।


চলো তাড়াতাড়ি যেতে হবে বাড়ি
সন্ধ্যা যে ঘনিয়ে এলো।
বলি, কী হলো? তাড়াতাড়ি চলো
হয়ে যায় সব এলোমেলো।


ঘরে ফিরে আসি বলিলাম মাসী
আজ তবে আমি যাই
মাকে তুমি দেখো, যতনে রেখো
পরীকে জানালাম বিদাই।


এসো তবে আজ ফুরাইলে কাজ
আসিও কদিন বাদে।
আঁখি ছলছল জল টলমল
পরী ফুপিয়ে কাঁদে।


অন্তরে মম পাহাড় সম
আবেগ ওঠিল ঠেলে
এতো ভালোবাসা যার হৃদয়ে তাহার
কী করে রেখে যাই ফেলে।


সেই যে আসিলাম নীরবে কাঁদিলাম
পাষাণে বাঁধিয়া বুক
যেখানেই যাই দেখিতে পাই
রূপসী পরীর মুখ।


চোখের পলকে আলোর ঝলকে
কেটে যায় বাইশটি বছর
পরীর চোখে জল নাই আর তাই
গণেশ্বরের বুকে জমেছে বালুচর।


অব্যক্ত, অসম প্রেম, পরী কাহিনী
এখানেই করিলাম শেষ
পরীর হাত ধরে দেখেছি আমি
একখণ্ড রূপসী বাংলাদেশ।