প্রীতির বন্ধনে স্মৃতির মিনার হৃদয়ে নিয়েছে ঠাঁই
বরফের ভাস্কর্যে নিজেকে গেঁথে চেতনার গান গাই।
সমগ্র বছর ভুলে থাকি একুশের গান-
ফেব্রুয়ারি এলেই কেবল মনে পড়ে ভাষার জন্য আমার
ভাইয়ের আত্মদান!


খাদ্য দূষণের মতো পাল্লা দিয়ে চলছে ভাষার দূষণ
ভাষার শরীর থেকে খসে যাচ্ছে স্নিগ্ধতার পলল পালক
মাতৃস্নেহে ঋজু শহিদমিনার কাঁদে-ভিজে কনক্রিটের আস্তর
বেদনায় ভারী হয়ে আসে রক্তাক্ত বর্ণমালার কণ্ঠস্বর
জননী আমার বিমর্ষ কান্নাকাতর!


আগুন জ্বলা ফাগুনে বরফের ভাস্কর্য ভেঙে বেড়িয়ে এসো
চৈতন্যহীন তারুণ্য; শোণিতে জ্বালাও অমিত তেজের
বিস্ফোরক; পুড়ে পুড়ে প্রাণে মজবুত হোক বিশুদ্ধ বাংলার ভীত
মননে মগজে ঠাঁই দাও আপন সংস্কৃতি; চলো দুর্নিবার
অপসংস্কৃতির বিপরীত।


লালচোখ পলাশের মতো করে বলো -ভাষার অবমাননা
মেনে নিতে পারি না; মেনে নেয়া যায় না।
ভালোবাসার বর্ণমালায় ভাস্মর হৃদয়ে প্রীতির বন্ধনে স্মৃতির মিনার
এবং মা মাটি মাতৃভাষা আমাদের আত্মপরিচয়ের ঠিকানা।
২৭-০১-২০২০