রমণীয় রমণী আমার, আগুন ছড়ানো
এ যুদ্ধের ময়দানে, বুলেটে বারুদে
ক্ষত-বিক্ষত শরীর থেকে রক্ত নিয়ে
তোমাকে লিখছি সান্ত্বনার পত্র।
কণ্ঠভেজা কথার মলম, হিংস্র হায়েনার
খুবলে খাওয়া সজীব ক্ষতে মেখে
অনুভব করো ভালোবাসার অমল ছোঁয়া।
এভাবে কেঁদো না। নোনা জলে চোখ
ডুবালে কিছুই দেখতে পাবে না।


তোমাকে বিজয় দেখতে হবে,
তোমাকে দেখতে হবে চির আকাঙ্ক্ষার
আজন্ম লালিত স্বপ্নের স্বাধীনতা ।
দেহ থেকে মুছে ফেলো
শকুনের ফেলে যাওয়া দুর্গন্ধময় ক্লেদ,
বোধের আঙুলে আবার বিন্যস্ত
করো কাজল কবরী; আবার নতুন
করে সাজো মোহনীয় সাজে।
ফিরবো তোমার জন্য নিয়ে
রমণীয় স্বাধীনতা;
রক্তরঞ্জিত বিজয়।


ভয় পেয়ো না। লড়ছি দেশের জন্য,
তোমার সুন্দরতম মুখে পুষ্পের
হাসি ফোটাবার জন্য, আমাদের অনাগত
সন্তানের পরিচয়ের স্বদেশ,
ও স্বাধীন পতাকার জন্য।
বোধের অরণ্যে বাসা বেঁধে থাকা
সবকটি ঘৃণিত শকুন
নির্মূল না করা
পর্যন্ত চলবে লড়াই।
এ লড়াই বাঁচার লড়াই
এ লড়াই অস্তিত্বের ও
আত্ম-পরিচয়ের লড়াই।


জেনে রেখো, তুমি একা নও।
তোমার পাশে আছি আমি, আমার
আমৃত্যু প্রেম ও প্রেমাষ্পদ শিহরণ
কোটি জনতার জাগরণ।
বিভীষিকাময় অন্ধকারে চোখ মেলে
তোমাকে দেখছে রূপালি চাঁদ তারা ভরা
উদার আকাশ, দখিনা বাতাস।
যদি মনে পড়ে, তারা ভরা রাতের আকাশ
দেখো, চোখ রেখো
স্মৃতির পাতায়, প্রীতির গোলাপ
শুকনো পাপড়ি বলবে কথা কানে কানে
আবেগের ঢেউ তুলবে ললিত গানে।


রাগ করো না লক্ষ্মীটি
তোমার, আমার আর আমাদের
রক্তে ভেজা বিজয়ের সৌখিন পতাকা
হাতে পাবো, তবেই না বাড়ি ফিরবো।
পূর্ব দিগন্তে উঠবে সূর্য রক্ত লাল
তারপর এক সাথে গাইবো
যুদ্ধ জয়ের গান, হবো অন্তপ্রাণ
হাতে পাবো সম্ভাবনার আগামীকাল
ভালোবাসা বেঁচে থাকবে অনন্তকাল...
২৯-১১-২০১৮