আকাশের উদারতা, উদধির বিশালতা
হিমাদ্রির দৃঢ়তা দেখেনি যে চোখ –
সে চোখ জড়বৎ পাথর অথবা চরম স্বার্থান্ধ।
যার মৃত বিবেকে জাগেনি জলোচ্ছ্বাস
উপলব্ধির জোয়ারে যে কাটেনি সাঁতার
তার মনন ও মানবিক নদী জলশূন্য সাহারা।
যার হৃদয় জুড়ে কাঁটা তারের বেড়া
পাপবিদ্ধ পাথরের পাঁচিলে ঘেরা
সে কেমন করে পাবে মানবিক মুক্তির স্বাদ!


এসো আকাশের মতো উদার হই
উপলব্ধির জোয়ারে সাঁতার কেটে
অনুভব করি উদধির বিশালতা।
হৃদয়ের চতুর্পাশ হতে ছিঁড়ে ফেলি
কাঁটা তারের বিষাক্ত বেষ্টনী;
অসাম্যের দেয়াল ভেঙে গড়ি সাম্যের পৃথিবী।
শরতের স্নিগ্ধ শিশির জলে ধুয়ে পরিশুদ্ধ করি মনন;
বিদ্বেষের কালিমুক্ত পবিত্র ও আলোকিত হৃদয়ে গাই
সাম্য ও স্বাধীনতার গান।


সকলের সম্মিলিত সুরের ঝংকারে ছিঁড়ে যাক
পরাধীনতার শৃঙ্খল। মুক্তির উল্লাসে জমিনে
জড়ো হোক চাঁদের নাভি গলে তরল জোছনা।
বিশ্ব দেখুক বাঙালির জোছনা পানের দৃশ্য;
বিজু-বৈশাবীর নৃত্য, ওয়াঙগালার মচ্ছব;
উপভোগ করি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব।
(১৬-১০-২০১৮)